শহিদুল ইসলাম, প্রতিবেদক, সিলেট।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বিশিষ্ট আইনজীবী বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিবল কলেজে অনুষ্ঠিত ১৫তম ওয়ার্ল্ড লিডার্স সামিটের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আইন ও মানবাধিকার ক্ষেত্রে মর্যাদাপূর্ণ লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের কূটনীতিক, সংসদ সদস্য এবং অক্সফোর্ড এলামনাই, পেশাজীবী ও চ্যারিটি সংস্থার প্রতিনিধিরা এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশনেন। ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, মেডেল ও সনদপত্র তুলে দেন ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করা সাবেক ব্রিটিশ এমপি মি. ভিরেন্দর শর্মা এবং অক্সফোর্ডে উচ্চ শিক্ষিত ও স্টাডিটিউব কমিউনিটির সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব মিস রুবি গ্রেনজার।
অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ও সফল বেশ কয়েকজন পেশাজীবী মানবতার জন্য তাঁদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা লাভ করেন।
“Empowering Visionaries, Transforming Tomorrow” প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত ১৫তম ওয়ার্ল্ড লিডার্স সামিটের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সৃজনশীলতার মাধ্যমে মুক্তি, শিল্পকলা কীভাবে পরিচয়, স্বাধীনতা ও সংস্কৃতির ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে, ঐতিহ্য ও মানবিকতার মাধ্যমে সংস্কৃতি ও ভবিষ্যৎ নির্মাণ, এবং সহমর্মিতা ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর—এমন নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পিটার জাস্টেন, অস্ট্রেলিয়ার দলজিৎ বকশি, যুক্তরাজ্যের অধ্যাপক আদিনা তুলবুরে, যুক্তরাষ্ট্রের ড. অ্যালেন লারোসা, ইতালির কারলা রুজ্জিয়েরো, মালয়েশিয়ার অধ্যাপক ড. বিলি ট্যাং চি সেন, ভারতের মেঘলাথা নাগরাজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাবাথ রানাওয়ানা, ইতালির আলেসিও ফিলিপেল্লি এবং সিঙ্গাপুরের গোলাম কিবরিয়াসহ অন্যনারা নিজ নিজ পেশা ও মানবতার জন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য, মনোয়ার হোসেন ইংল্যান্ডের একজন সুনামধন্য প্র্যাকটিসিং ব্যারিস্টার যিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক অভিবাসী ব্যক্তি ও পরিবারকে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছেন। আইন পেশার পাশাপাশি তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে মানবাধিকার বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের উন্নয়নে তিনি বহু বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তাঁর অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিজনেস আমেরিকা ম্যাগাজিন সম্প্রতি তাঁকে একজন প্রভাবশালী প্রবাসী তথা নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি (এনআরবি) হিসেবে একশত জনের মধ্যে তালিকাভুক্ত করেছে এবং এর আগে হু’জ হু বাংলাদেশ, দুবাইয়ে প্রফেশনাল সার্ভিস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডসহ আরও একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করেছেন।
তিনি ইউকে সিভিল, ইমিগ্রেশন, মানবাধিকার, জুডিশিয়াল রিভিউ, আপীল ও ফ্যামিলী আইনে বিশেষজ্ঞ এবং উচ্চ আদালতসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আদালত অগণিত মামলা পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন, মানবাধিকার, এসাইলাম ও সিটিজেনশীপ আইন বিষয়ে ব্যাপক সফলতার জন্য বিশেষ সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। তাঁর আইনী সহায়তার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাওয়া হাজারো প্রবাসীরা স্বদেশে প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সেদেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন।