মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানা পুলিশের বিচক্ষণতা ও দ্রুত তৎপরতায় মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকৃত সিএনজি উদ্ধার এবং পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারের ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
বাদী মাহবুব আলম (৩০) কর্তৃক পরিচালিত সিএনজিটি তার ড্রাইভার মোঃ রিপন (৪২) গত ০৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ২০ মিনিটে বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন মোড় থেকে তিন অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ ছিনতাইকারী জামশেদ উদ্দীন (৩৬)-কে ভাড়ায় আকবরশাহ এলাকার কর্নেলহাটে নিয়ে আসেন।
রাত গভীর হলে ছিনতাইচক্র ড্রাইভারকে ঈশান মহাজন রোডে নামিয়ে দিতে বলে। পরে ০৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে তারা রিপনকে একটি নির্জন স্থানে টৌল রোড সংলগ্ন মোর্শেদের মুরগী ফার্মের পাশে নিয়ে গিয়ে পেটে ছোরা ধরে ভয়ভীতি দেখায়, বেধড়ক মারধর করে এবং গেঞ্জি দিয়ে চোখ বেঁধে ফার্মের খুঁটির সাথে হাত-পা বেঁধে ফেলে।এসময় তারা ভিকটিমের কাছ থেকে
সিএনজি (রেজিঃ নং: চট্ট-থ–১৩-৯৯৫০)নগদ ১৪০০ টাকাএকটি বাটন মোবাইল ছিনিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরে সিএনজির মালিক থানায় মৌখিক অভিযোগ করলে আকবরশাহ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম দ্রুত অভিযানে নামার নির্দেশ প্রদান করেন।
তার নির্দেশনায় এসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্বাধীন একটি চৌকস টিম তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ইপিজেড থানার পুলিশের সাথে যৌথ অভিযানে ০৯ ডিসেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ইপিজেড ব্যাংক কলোনীর আলীশাহ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড মোটর ওয়ার্কশপে হানা দেয়।
সেখান থেকে পেশাদার ছিনতাইকারী জামশেদ উদ্দীন (৩৬) পিতা: সিরাজ উদ্দীন সাং: বুড়িচর, হাতিয়া, নোয়াখালী বর্তমান ঠিকানা: ফ্রি পোর্ট, নিউ মুরিং, কাঁচা বাজার কে গ্রেফতার করা হয় এবং ছিনতাইকৃত সিএনজিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত জামশেদের বিরুদ্ধে ছিনতাই ও চুরির ৬টি পূর্ববর্তী মামলা রয়েছে। তাকে “অভ্যাসগত অপরাধী” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে আকবরশাহ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ প্রহরায় বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।