মোহাম্মদ আরমান চৌধুরী
আরব আমিরাত
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্টস সিকিউরিটির (আইসিপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সুহাইল সাঈদ আল খায়লির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। বৈঠক শেষে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, আমিরাতে ভিসা ও আবাসন আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশিরা।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমিরাতে ভিসা ও আবাসন আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরাই সবচেয়ে এগিয়ে। আমাকে জানানো হয়েছে, এখানে মোট অনিয়মকারীদের মধ্যে ২৫ শতাংশেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক।
বিশেষ দূত বলেন, আমি আলাদাভাবে একটি আন্তর্জাতিক রিক্রুটমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছি, যারা আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী আনে। তারাও এই অভিযোগগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছে। চলতি বছরের মার্চে আংশিকভাবে ভিসা চালু হওয়ার পর থেকে কিছু মধ্যস্বত্বভোগীর অসাধু আচরণের কথাও আমি শুনেছি।
ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা আবেদনকে আলাদা-ভাবে বিশ্লেষণ করা হবে। যেমন পারিবারিক ভিসা, নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের দেশীয় অনুমতি, পর্যটন ভিসা, দক্ষতা অনুযায়ী কর্মীভিসা এবং নাবিকদের ভিসা।
তিনি জানান, বৈঠকে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছেন যে, ভিসা ইস্যুতে পারস্পরিক আস্থা ও সদিচ্ছার ভিত্তিতে দুই দেশের সরকারকে কাজ করতে হবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি নতুন কাঠামোর অংশ হিসেবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জনগণের সংযোগকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন কর্মী ভিসা কার্যত স্থগিত রয়েছে। বিগত সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন প্রচেষ্টার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত ভিসা জটিলতার কোনো কার্যকর সমাধান হয়নি।