মোঃ শফিকুল ইসলাম, রংপুরঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির হাছেন আলীর বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ইউএনওর স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে।
এ ঘটনায় জেলা কমিটি তাকে উপজেলা জামায়াতের আমির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার হাছেন আলীকে নোটিশ দেয় হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম মিঞা।
ইউএনও শামীম মিঞা বলেন, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে হাছেন আলীসহ দীর্ঘদিন থেকে ৪ জন অধ্যক্ষ দাবি করে আসছেন। তবে ওই কলেজের সভাপতি হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু কলেজটিতে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে রয়েছেন জামায়াত নেতা হাছেন আলী।’
তিনি আরও বলেন, ‘কলেজটি এমপিওভুক্ত হলেও জটিলতার কারণে এখনো শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন হয় নাই । সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাছেন আলীর বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম, শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকা তৈরিতে অনিয়মসহ তার (ইউএনওর) স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।’ এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার হাছেন আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
ইউএনও মহোদয় আরো বলেন, ‘জবাব পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে, হাছেন আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পরপরই গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা জামায়াতের কার্যালয় দলীয় ফোরামের এক জরুরি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে হাছেন আলীকে উপজেলা জামায়াতের আমিরের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।
লালমনিরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবু তাহের জামায়াত নেতা হাছেন আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। কিন্তু অব্যাহতির কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে তিনি রাজি হয়নি। এদিকে এ ঘটনায় কলেজের বঞ্চিত শিক্ষকরা ফুসে উঠেছেন। এদিকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন কর্মকর্তা ইউএনও মহোদয়ের স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি নিয়ে জেলায় ব্যাপক সমালোচনা ও চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে