এম,আনিসুর রহমান
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরে হোসাইন আরিফ (৪৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিঁনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। মারা যাওয়া চেয়ারম্যান আরিফ দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ সমবায়ী প্রতিষ্ঠান বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সাবেক সভাপতি, সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নানের পুত্র।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিঁনি মারা যান। কয়েকদিন আগে হার্টে ব্লক ধরা পড়লে তিঁনি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং হার্টে পরানো হয় রিং। আরিফের বড় ভাই তসলিম উদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- ৫ আগষ্ট দেশের পট-পরিবর্তনের পর চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচিত ১৬ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বহিস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জেলা প্রশাসক। সেই তালিকায় বদরখালীর চেয়ারম্যান নূরে হোছাইন আরিফও ছিলেন।
সম্প্রতি সেই বহিষ্কারাদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতের রিট মামলা দায়ের করেন। কয়েকদফা সেই রিটের শুনানি শেষ হলে আজ মঙ্গলবার আরিফকে চেয়ারম্যান পদে বহাল করে রায় দেন। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার সেই রায়ের বিষয়টি শোনার পর পরই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান আরিফ। বড়ভাই তসলিম উদ্দিন আরো জানান- গত কয়েকমাসে একের পর এক রাজনৈতিক মামলা রুজু হয় থানায়। সেসব মামলায় অন্যান্যদের সঙ্গে তাকেও আসামী করা হয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন আরিফ। একদিকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ ও মামলাগুলো নিয়ে মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছিলেন আরিফ। পরিবার জানায়- আগামীকাল বুধবার বেলা দুইটার দিকে বদরখালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এর পর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এদিকে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আরিফের আকষ্মিক মৃত্যুতে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শত শত শুভাকাঙ্ক্ষী তার মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকবার্তা জানাচ্ছেন।