ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র জুলাই যোদ্ধা শহীদ ওসমান শরীফ হাদির হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঈদগাঁওতে মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । ১৯ ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার ঈদগাঁও বাজারের শাপলা চত্বর থেকে বাদে জুমা এ
মিছিল শুরু হয়। যা ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়ক ডিসি রুট অতিক্রম করে বাস স্টেশনে যায়। পরে সেখানে একটি হোটেল প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঈদগাঁও উপজেলা জামায়াত তাৎক্ষণিক এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথির জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন।
ঈদগাঁও উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আজিমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা
লায়েক ইবনে ফাজেল। উপজেলা জামায়াত আমির মাওলানা ছলিম উল্লাহ জিহাদীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন এডভোকেট এস, কে, আহমদ ফারুকী, ঈদগাহ কলেজ শিবিরের সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ, এনসিপির ঈদগাঁও উপজেলা সমন্বয়কারী তারেকুর রহমান, যুগ্ম সমন্বয়কারী রহিম চৌধুরী, জুলাই যোদ্ধা রুবায়েদ এম, আদেল।
উপস্থিত ছিলেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির অধ্যাপক হাকিম আলী, ইসলামপুর ইউনিয়ন জামায়তের সভাপতি শাহাব উদ্দিন, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি হারুন অর রশিদ রশিদ, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ মহসিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি তৈয়ব উদ্দিন প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্য দেন ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ছলিম উল্লাহ জিহাদী।
এর আগে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে রাজপথ প্রকম্পিত হয়ে উঠে বিভিন্ন স্লোগানে। উল্লেখযোগ্য স্লোগানের মধ্যে ছিল 'নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর', 'আমরা সবাই হাদী হবো গুলির মুখে কথা কবো', 'লড়ে লড়ে লড়ে যাব, আমরা সবাই হাদি হবো', 'হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না', 'ভারতীয় আগ্রাসন এ বাংলায় চলবে না', 'দিল্লি না ঢাকা ঢাকা ঢাকা', 'গোলামি না আজাদী আজাদী' আজাদী'', ইনকিলাব ইনকিলাব জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ', 'আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে',
'শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না', 'এক হাদী শহীদ হয়েছে লক্ষ হাদী বুক পেতেছে' প্রভৃতি।
সমাবেশে বক্তারা শহীদ শরীফ ওসমান হাদির খুনীদের গ্রেপ্তারপূর্বক অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক ফাঁসির দাবি জানান।
তারা হাদীর খুনের ঘটনায় সরকারের চরম ব্যর্থতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
বক্তৃতাদানকারী জুলাই যোদ্ধারা আবারো রাজপথে নামার কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তারা বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান তথা জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যথায় তারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা টিকিয়ে রাখতে এবং ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার হুংকার দেন।
মিছিল ও সমাবেশে জামায়াত, এনসিপি, যুব জামায়াত, ছাত্রশিবির সহ জুলাই যুদ্ধ সমর্থনকারী কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেন।