এম,আনিসুর রহমান
কলেজ ছাত্রকে (১৭) বলাৎকারে অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মাসুদ সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে র্যাব সদস্যরা বরিশাল কোতোয়ালী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাতে তাকে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। গ্রেপ্তার মাসুদ কলেজ ছাত্র বলাৎকার মামলার প্রধান আসামি। স্থানীয়ভাবে তিনি কিং মাসুদ নামে পরিচিত এবং খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোসলেম সরদারের ছেলে। মাসুদ নিজেও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য। ভিকটিম একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কলেজছাত্রের বাবা খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য কিং মাসুদ সরদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। বুধবার গৌরনদী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ বুধবার ভোর রাতে প্রধান আসামির সহযোগী মো. নিলয় আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার জেরে প্রধান আসামি মাসুদ পলাতক ছিলেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত খঞ্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য কিং মাসুদ সরদার প্রথমে ফেসবুকে মেসেজ দিয়ে মাদারীপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রের (১৭) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে মাসুদের পরিকল্পনা মোতাবেক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভিকটিমের সহপাঠী ইমন সরদার কৌশলে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রকে উপজেলার সমরসিংহ বাজারে একটি দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে যায় এবং মোবাইল ফোনে মাসুদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। এরপর মাসুদের সহযোগী ইমন ভুক্তভোগীকে ভ্যানযোগে ইল্লা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে হাঁটা পথে অন্য একটি চায়ের দোকানে নিয়ে গিয়ে চা পান করায়। সেখানে কিং মাসুদ উপস্থিত হয়ে চায়ের বিল পরিশোধ করে। এরপর মাসুদ ও ইমন মিলে ভুক্তভোগীকে নিলয় এক যুবকের বাসায় নিয়ে বলাৎকার করে।
ওই কলেজ ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, কিং মাসুদ তার দুই সহযোগী ইমন ও নিলয়ের সহায়তায় আমাকে নিলয়ের ঘরে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে আমাকে জোরপূর্বক বলৎকার করেছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কিং মাসুদকে প্রধান আসামিসহ তিন জনকে আসামি করে বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পর পর এজাহারনামীয় আসামি বাড়ির মালিক নিলয় আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রধান আসামি কিং মাসুদ পলাতক ছিলেন। বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা বৃহস্পতিবার বরিশাল কোতোয়ালী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার এবং থানায় সোপর্দ করে। শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামি ইমন সরদারকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।