1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চট্টগ্রামে টাইফয়েডের টিকাদান ১ সেপ্টেম্বর থেকে, মিলবে জন্মসনদ না থাকলেও সীতাকুন্ডে গণ-সংলাপ বাঘাইছড়িতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস২০২৫ উদযাপন ‘আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিতে নাগরিক সমাজের ভূমিকা ও করনীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা বান্দরবান পৌরসভার আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডে বসত ঘর ছাই নগরবাসীকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যানবাহন ব্যবহার না করার অনুরোধ সিএমপির। পেকুয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আহছান উল্লাহ’র নেতৃত্বে সড়ক মেরামত প্রবাসে থেকেও সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যাওয়া সহজ কাজ নয়- সেই দৃষ্টান্ত রাখলেন সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম

ক্ষুদি রামের জন্মদিনে বিনম্র চিত্রে স্মরণ করি এই মহান বীরকে।

  • সময় শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৪৭৬ পঠিত

পলাশ সেনঃ

আমায় একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি।” যে ফাসির মঞ্চে দাড়িয়ে একথা বলতে পারে সে বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। ফাসিতে ঝোলানোর আগে কারা কর্তৃপক্ষ শেষ ইচ্ছা জানতে চাইলে নির্ভিক চিত্তে সেই মহান বিপ্লবী বলেছিলেন আমি ভালো বোমা বানাতে পারি, মৃত্যুর আগে সারা ভারতবাসীকে শিখিয়ে দিয়ে যেতে চাই।অগ্নিযুগের সেই মহান বিপ্লবী ৩ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে জন্মগ্রহন করেন।

খুব ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারান ক্ষুদিরাম। শোনা যায় তার দিদি অপরূপা দেবী তিন মুট খুদ দিয়ে কিনেছিলেন তার ভাই। এই কারনে নাম হয়েছিল ক্ষুদিরাম।ছেলাবেলা থেকেই সেবামূলক বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়েন। এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় পরিচিত হয়েছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে। এখানে থেকেই যুগান্তর দলের সদস্য হন। দলের কাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাতশালা স্থাপন করেন। এই তাতশালার পিছনে লাঠিখেলা, তরবারী চালান, বোমা তৈরী, পিস্তল বন্দুক ছোড়ার শিক্ষা হত। দ্রুত এসব বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠেন ক্ষুদিরাম। দিদির বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। রাজনৈতিক নিষিদ্ধ পত্র-পত্রিকা বিলি করার জন্য পুলিশ ধরতে গেলে তাদের হাত পালিয়ে যান পড়া ধরা পড়লে অল্প বয়সের কারনে পুলিশ মামলা প্রত্যাহার করে। দলের প্রয়োজনে ডাক হরকরার টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেন।বিপ্লবীদের শাস্তি দেওয়ায় মরিয়া হয়ে উঠেন চিফ পেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয় কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে হবে। দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্ষদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীকে। দুই তরুন বিপ্লবী রওনা হন মজফফরপুর আশ্রয় নেন কিংসফোর্ডের বাসভবনের পাশের একটি হোটেলে। ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল রাত আটটার দিকে ইউরোপিয়ান ক্লাব থেকে খেলা করে একই রকম গাড়িতে গেট পার হচ্ছে অন্য দুই বিট্রিশ নাগরিক। দুই বিপ্লবীর ছোড়া বোমায় তারা ঘটনাস্থলে মারা যান আর যে কিংসফোর্ডকে মারার জন্য এ প্রচেষ্টা তার গাড়ি কয়েক হাত দূরে দাড়িয়ে।পালানরত পথে রেলস্টেশনে ধরা পড়েন ক্ষুদিরাম আর প্রফুল্ল চাকী। এই ক্ষুদিরাম বসুর বিচার নিয়ে সরকার আস্তে আস্তে বিপাকে পড়তে থাকে আর মানুষের মুখে প্রচারিত হতে থাকে একবার বিদায় দেমা ঘুরে আসি। ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ৩০২ ধারা মোতাবেক ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকর হয়।

আজ ৩ ডিসেম্বর, ক্ষুদি রামের জন্মদিনে বিনম্র চিত্রে স্মরণ করি এই মহান বীরকে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট