এম,আনিসুর রহমান
ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চকরিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে বিশাল গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে । সোমবার (৪ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় চকরিয়া পৌর বাসটার্মিনাল থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া শহর এলাকা প্রদক্ষিণ করে জনতা শপিং সেন্টার চত্বরে এক বিশাল সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমেদ আনোয়ারী। প্রধান বক্তা ছিলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কক্সবাজার শহর জামায়াতের
আমীর আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
চকরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল বশরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন একটি গোষ্ঠী দেশে ব্যাপক সন্ত্রাস চাঁদাবাজি দখলবাজি করে যাচ্ছে, এর দায় আমরা নির্দিষ্ট কোন দলকে দিতে চাইনা,কিন্তু জনগন জানে কারা এসব করছে,যারাই এর সঙ্গে জড়িত আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে। তারা মনে করেছে তারা ক্ষমতায় চলে গেছে,কিন্তু দেশের জনগন এসব বুঝে।
তিনি বলেন বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকই আমাদের কাছে সম্মানিত।জামায়াতে ইসলামী জনগণের সম্মান ও অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আনোয়ারী বলেন, দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায়। অথচ প্রশাসন বিভিন্ন দলকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। তিনি প্রশাসনকে কোন দলের পক্ষাবলম্বন না করে জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করি না,আমরা সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমৃত্যু সংগ্রাম করে যাবো।
সভা শেষে জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুল্লাহ আল ফারুককে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। সমাবেশের প্রধান বক্তা চকরিয়া পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন জুলাই আন্দোলনের মূল স্পিরিট ছিল একটি বৈষম্যহীন ন্যায় ইনসাফের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন ইসলামী আদর্শ ছাড়া দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন দেশ গঠন সম্ভব নয়। একবছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেশে দুর্নীতি, বৈষম্য, দখলবাজি ও ফ্যাসিবাদী আচরণ থেকে জনগণ মুক্তি পায়নি। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ, চকরিয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মাতামুহুরিতে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০০ শয্যার আসনে জনবল ও প্রয়োজনীয় মেশিনারীজ সংযুক্ত করে সেবা নিশ্চিত করার কথা বলেন। এছাড়াও তিনি মাতামুহুরিকে একটি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ঘোষণার দাবি জানান। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ , জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আক্তার আহমদ, জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মীর মোহাম্মদ আবু তালহা। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন পৌরসভা জামায়াতের
আমীর আরিফুল কবির, মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আমীর মাওলানা ফরিদুল আলম, চকরিয়া উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান চৌধুরী মানিক, প্রাক্তন উপজেলা আমীর মাওলানা সাবের আহমদ ও মাওলানা মোজাম্মেল হক, চকরিয়া উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা ছৈয়দ করিম, পৌর সেক্রেটারী মাওলানা কুতুবউদ্দিন হেলালী , মাতামুহুরি সেক্রেটারী হোসনে মোবারক, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রহমান, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমদ বাবর, বরইতলি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার, ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতি নুরুল ইসলাম প্রমুখ।