মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিশেষ সংবাদদাতা
চট্টগ্রামের রাউজান, বায়েজিদ বোস্তামী ও চালিতাতলি এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত তিনটি গুলিবর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ছয়জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম, গনমাধ্যমেকে জানানো হয়, এই তিন ঘটনায় রাজনৈতিক সহিংসতা, মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার এবং ব্যক্তিগত শত্রুতার জটিল সমন্বয় রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—গত ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী গণসংযোগে প্রবেশ করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। জনসমাগমের ভেতর থেকে তারা সরওয়ার হোসেন বাবলার বুকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় এরশাদ উল্লাহসহ আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।ঘটনাটি এলাকায় তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে গতকাল ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় চান্দগাঁও থানাধীন হাজিরপুল এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-৭। এ সময় মো. আলাউদ্দিন ও মো. হেলাল নামের দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, গত ৬ নভেম্বর রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলি এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবন্ধী রিকশাচালক মো. ইদ্রিসকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মূল হোতা হিসেবে শনাক্ত মো. আরমান আলী রাজ (২৭) রউফাবাদ আবাসিক এলাকায় অবস্থান করছে—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭ রাত ১২টা ১০ মিনিটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
একই রাতে রাউজান থানার কোয়েপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর সশস্ত্র একটি দল চকবাজার থানার চন্দনপুরা এলাকার একটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছে—এমন তথ্যে র্যাব-৭ রাত ১টা ৪০ মিনিটে অভিযান চালায়।
অভিযানে গ্রেফতার করা হয়—ইসতিয়াক চৌধুরী অভি (৩৮), মো. জনি (৩৮) ও মাহমুদুল হক জ্যাকি (৩৫)। অভিযান চলাকালে তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং চার রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের দাবি, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনটি ঘটনার সঙ্গে, সরাসরি সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আজ বিঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-৭ এর কর্মকর্তা জানান,“চট্টগ্রাম মহানগর ও উপকণ্ঠে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক,সহিংসতার ঘটনাগুলোতে যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত র্যাবের এই বিশেষ অভিযান চলবে।”