মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিশেষ সংবাদদাতাঃ
চট্টগ্রাম–১১ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি মনোনীত সম্ভাব্য প্রার্থী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরীর গণসংযোগে বিকেলে দেখা গেছে অভূতপূর্ব মানুষের ঢল। আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের বিভিন্ন স্থানে তার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
গণসংযোগ পূর্ববর্তী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসরাফিল খসরু বলেন,“ধানের শীষ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানুষের অধিকার রক্ষার প্রতীক। এ প্রতীককে বিজয়ী করতে যতক্ষণ আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, ধানের শীষকে কেউ হারাতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে গণ-বিস্ফোরণ ঘটবেই।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিগত ১৭ বছরে প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিবেশেও বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠ ছাড়েননি। জনগণের ভোটাধিকার, আইনের শাসন ও নাগরিক স্বাধীনতার জন্য বিএনপি নিরলসভাবে সংগ্রাম করেছে।
তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচিকে দেশের পুনর্জাগরণের কর্মপরিকল্পনা হিসেবে উল্লেখ করে খসরু বলেন—“এই কর্মসূচি কেবল বিএনপির রাজনৈতিক ইশতেহার নয়; এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠন, প্রশাসনে নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা এবং বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা।”
তিনি আরও বলেন—তরুণদের কর্মসংস্থান, শিক্ষা সংস্কার, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষা, গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ এবং দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের জন্য ৩১ দফা হবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভিত্তিমূল।
ইসরাফিল খসরু তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যেসব পদক্ষেপকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে—প্রশাসনে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা,বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন নিশ্চিতকরণ,
কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্প্রসারণ,ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও বিনিয়োগে স্বচ্ছতা, কৃষি ও শিল্পে উৎপাদনমুখী পরিকল্পনা,নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা
তিনি বলেন,“জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিটি ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ তার অধিকার ফিরে পেতে চায়, আর সেই আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হচ্ছে ধানের শীষ।”
গণসংযোগ ও পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা,যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, এস এম সাইফুল আলম,
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দীন, হাজী হানিফ সওদাগর,সাবেক কাউন্সিলর ও ইপিজেড থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সরফরাজ কাদের রাসেল,বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর মো. সেকান্দর,
৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ডা. নুরুল আবসার,বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. জাহিদুল হাসান,ইপিজেড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদ খলিল,৩৭, ৩৮ ও ৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দ,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান,মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হোসেন,কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর,এবং ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলমসহ বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।
গণসংযোগ শেষে ইসরাফিল খসরু বিভিন্ন দোকান, বাসাবাড়ি, পথচারী ও সাধারণ মানুষের কাছে ধানের শীষের পক্ষে সমর্থন চান। স্থানীয়দের অনেকেই তার বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে আগামী নির্বাচনে পরিবর্তনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম–১১ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী ইসরাফিল খসরুর গণসংযোগ শুধু প্রচারণা নয়;এটি ছিল বিগত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আগামী নির্বাচনে জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের আহ্বানের এক শক্তিশালী বার্তা।