পটিয়া প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আলাউদ্দিন মোঃ ওয়াদুদ বীর প্রতীক বলেছেন, পটিয়া আমার শেকড়, পটিয়ার সুনাম-দুর্নামের সাথে আমাদের  সুনাম দুর্নাম, পটিয়াবাসীর মান-সম্মান জড়িত। এই পটিয়া থেকে আমি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছি।

১৯৭১ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করি। ব্রিটিশ মিলিটারি রয়েল একাডেমি স্যানহাস্টের ছাত্র ছিলাম।

আমার ছেলে মেয়েরা অক্সফোর্ডে লেখাপড়া করে এখন বিদেশেই  প্রতিষ্ঠিত। আমার কোন পিছুটান নেই। আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। এখন শেষ জীবনে এসে আমি  এলাকাবাসীকে কিছু দিতে চাই। পটিয়ার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাই। ভূলুণ্ঠিত বদনাম ঘুছাতে চাই।

ইয়াবা, মাদকের হাব বলে পটিয়ার যে বদনাম বিগত কয়েক বছর ছড়িয়েছে সেই বদনাম গোছাতে আপনাদের সহযোগিতা এবং সমর্থন প্রত্যাশা করি।

দেশে এবং দেশের বাইরের লোকেরা এখন পটিয়াকে জানে ইয়াবার হাব হিসাবে। অথচ আমাদের এমন বদনাম ছিল না।

আমরা ছিলাম প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ, শাহ আমিরুজ্জামান এবং মাওলানা নুরুল হকের  সুনাম ধন্য পটিয়ার অধিবাসী।

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূতিকাগার, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ আন্দোলনের ঘাঁটি ছিল পটিয়ায়। তিনি সম্প্রতি চট্টগ্রাম ক্লাবে এক মতবিনিময় ও পরামর্শ সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।

বক্তব্যের শুরুতে উনি স্বরণ করেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, ইতিহাসের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিনম্র চিত্তে স্বরণ করছি।  আমি আরও স্বরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫-ই আগস্টে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ  ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, আমার কোর্সমেট বন্ধু লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে নিয়ে অবদান করতে চাই।

পটিয়া ও দক্ষিণ জেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, যুব ও ছাত্র প্রতিনিধিরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ মেজর জেনারেল (অব) এ,এম, ওয়াদুদকে দলের মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সহযোগিতা ও সমর্থনের আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য মেজর জেনারেল (অব:) এ,এম ওয়াদুদ, বীর প্রতীক  রাওয়া ক্লাবের ( Retired Armed Forces Officers’ Welfare Association) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশরত্ন, সফল রাষ্ট্র নায়ক  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ৭ হাজারেরও অধিক অবসরপ্রাপ্ত  সেনা কর্মকর্তাদের মর্যাদা সম্পন্ন এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দিয়েছেন এবং আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি উনার আদেশ পালন করতে।

বিএনপি সরকারের সময় তাঁর চাকরির মেয়াদ ১৩ বছর থাকা সত্বেও তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করে। পরবর্তীতে তাঁকে কর্মজীবনে বাধাগ্রস্ত করে এবং মানসিকভাবে হেনস্থা করে।

তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর ভিজিটিং অধ্যাপক।

১ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক মেজর জেনারেল (অব) এ,এম, ওয়াদুদ, বীর প্রতীক পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের কৈয়গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা আমীর আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন।

তিনি ফৌজদার হাট ক্যাডেট কলেজ পড়াশোনা করেন। সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং মেজর জেনারেল পদ থেকে বি এন পি সরকার বাধ্যতা মূলক  অবসরে পাঠান।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।