মোঃ শেখ ফরিদ মিরসরাই ।
বিচক্ষণতা, দুরদৃষ্টি,ঠান্ডা মাথায় চিন্তাশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা,অসীম ধৈর্য, সততা ও আদর্শের প্রশ্নে আপোসহীন নীতিতে অটল থাকা এবং দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি পরম বিশ্বাস ও ভালবাসা চট্টগ্রাম -১ আসনের সাংসদ নুরুল আমিন চেয়ারম্যান কে নিয়ে গেছে সাফল্যের নতুন দিগন্তে।
নির্মোহ দীপ্ত চেতনার সোনালী বেদীতে তিনি আজ দাড়িয়ে। উত্তাল জনতার জনসমুদ্রে অবগাহন করেছে বারবার তার রাজনৈতিক জীবন।
কুটিল চক্রান্তের শত পথ মাড়িয়ে,সহস্র সাহারা ও ভিস্যূভিয়াসের আগ্নেয়গিরীতে নিজে জ্বলে,অগনীত শ্রাবণের দূর্বিসহ কাঁন্না সাগর চোখের কোনে লুকিয়ে তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন মানুষের পরম মমতার দীপ্ত সাগরে।
একজন নেতা হিসেবে,
একজন বাবা হিসাবে।
একজন সন্তান হিসেবে, একজন স্বামী হিসেবে বা একজন ভাই হিসেবে পরিবার পরিজনদের প্রতি যে ব্যক্তি দায়িত্ব ছিল, তিনি তা পালন করার সুযোগ পাননি সত্য তবে।রাজনীতির মাঠে জনতার অপার ভালবাসার বৃষ্টিতে ধূয়ে গেছে কাছে না পাওয়ার সকল কষ্ট তার পরিবারের সব মানুষের।
নুরুল আমিন চেয়ারম্যান। একটি নির্মোহ কবিতা, একটি অবিনাশী জীবন্ত ইতিহাস, জনতার সোনালী বেদীতে ফোটা একটি অবিনাশী গোলাপ।
একজন মানুষ হিসেবে তারও যে অপূর্ণতা আছে তা দেখতে পারেনি আজও কেউ।তিনি কেঁদেছেন, তিনি জ্বলেছেন, তিনি পুড়ে পুড়ে খাঁক হয়ে গিয়েছেন বারবার তবে তা নিজের প্রিয়জনদের নিভৃত আঙিনায় একান্তে, সংগোপনে।
কিন্তু মানুষের জনারণ্যে যখন তিনি এসেছেন,তখন তিনি হেসেছেন, একটু আগের কাঁন্না সাগরকে পিছনে ফেলে।
নুরুল আমিন চেয়ারম্যান। পৃথিবীর কোন ধাতুতে তৈরি তা গবেষণার বিষয়।প্রচলিত ভাবনা আর চিন্তা চেতনার ধারক তিনি নন।মানুষ যা ভাবে, মানুষ যা চিন্তা করে, তিনি কখনোই তা করেন না।তাকে বুঝতে পারা দূরুহই নয় রীতিমত সাধনার বিষয়।
পরিবারের একান্ত আঙিনায় তিনি রাগী মানুষ হিসেবেই পরিচিত।কখনো বা শিশুর মত সারল্যও বটে।তবে তিনি জীবনের সব আঙিনায়, চলার পথের সব সীমানায়, প্রকৃতির মত সুন্দর ও মানবিক।ঠিক যেন সদ্য ফোটা প্রস্ফুটিত গোলাপ কলির মত,যে অনেক আগে পাপড়ি মেলেছে জীবনের আঙিনায়,মানুষের জনারণ্যে।
তার সবচেয়ে বড় গুণ হল,কথা আর অমায়িক ব্যবহারের ইন্দ্রজালে চরম বিরুদ্ধচারিকেও সহজেই আপন করে নেওয়া, তার প্রেমে মুগ্ধ করে দেওয়া।
ব্যতিক্রমধর্মি অনন্য বৈশিষ্ট, ঠোঁটের কোনে লেগে থাকা খোদা প্রদত্ত ভূবণ ভূলানো একচিলতে হাসি, দিব্য দৃষ্টিশক্তি,ব্যবহারিক ইন্দ্রজালে জড়িয়ে এক নিমিষেই মানুষকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতার কারনেই সব মানুষের চির প্রেমিক হতে পেরেছেন তিনি।
তারুণ্যের গর্বিত অহংকার নুরুল আমিন চেয়ারম্যান এর মধ্যে মানব সত্ত্বার এমন কিছু গুনাবলী,এমন কিছু ঐশ্বরিক ক্ষমতা ও বিধাতার উপহার দেওয়া ইন্দ্রজাল বিদ্যমান রয়েছে, যে একবার তার সান্নিধ্যের শ্যামল ছায়ায় এসেছে, সেই তার প্রেমে পড়ে গেছে আজীবনের জন্যে।
চাইলেও পরবর্তিতে সে তার প্রেমকে অস্বীকার করতে পারে না, তাকে ভুলে যাওয়া যায় না।হয়ত সে কারনেই তিনি হতে পেরেছেন মিরসরাইয়ে লক্ষ জনতার প্রাণ স্পন্দন হতে, মিরসরাইয়ে রাজনৈতিক ইতিহাসে জনপ্রিয়তার জীবন্ত কীংবদন্তি হতে।
অসীম সহ্য ক্ষমতার এক অপার মহাসমুদ্র।তার ধারন ক্ষমতার গভীরতার শেষ সীমানা কোথায় তা নিরুপন করার সাধ্য কারো নেই।
রাজনীতির উত্তাল টর্ণেডোর সামনেও তিনি নির্ভয়ে থাকতে পারেন অবিচল।মহা সাইক্লোনের সামনেও তিনি আগামির স্বপ্ন বুনেন, স্বপ্নীল জীবনের ছবি আঁকেন মনের মাধুরী মিশিয়ে জীবনের ক্যানভাসে স্বপ্নের রং-তুলিতে।
ক্লান্তিহীন অবিরাম রাজনীতির মিছিলে, জীবনের মঞ্চে,মুখর রাজপথে,চক্রান্তের অসংখ্য গীরিখাদ আর চোরাবালি তিনি পার হতে পারেন সততার উদ্ভাসিত সোনালী আলোয় নিমিষেই।
হয়ত তাই তিনি হতে পেরেছেন শুধুই জনতার,হতে পেরেছেন মানুষের মিছিলে মিরসরাইয়ে রাখাল রাজা, জন-নন্দিত আগামীর এমপি আর সকলের প্রিয় নুরুল আমিন চেয়ারম্যান ।
নজিরবিহীন জনপ্রিয়তার মাইলফক স্পর্শ করেছে হয়ত তাই তার ভাগ্য ললাটে,হতে পেরেছেন ভিন্ন অনন্য উঠান বৈঠকের অন্যতম রুপকার ও শীর্ষ জনপ্রিয়তার জনক মিরসরাইয়ে শ্যামল আঙিনায়,মানবতা প্রতিষ্ঠার অনন্য পথিকৃত নুরুল আমিন চেয়ারম্যান আগামীর এমপি।
সম্ভবত আগামী বছরে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদ্বশ সংসদ নির্বাচন।নিঃসন্দেহে সেই নির্বাচনে তিনি একজন শক্ত প্রার্থি এবং আসনটির অন্যতম দাবিদার।এই আসনটি তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে এখন পর্যন্ত কয়েক জন প্রার্থির নাম রয়েছে আলোচনার টেবিলে।
দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা থাকবেই।সব কাজ যেমন নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করা যায় না তেমনি সব মানুষকে সন্তুষ্টির ফুলেল বৃত্তে আনাও যায় না।সেই দৃষ্টিতে তার সমালোচনা আছে, আছে প্রতিপক্ষ।
কিন্তু সাংগঠনিক শক্তিতে বলীয়ান জেলা বিএনপির নন্দিত সফল সাধারন সম্পাদকের সমকক্ষ কেউ না থাকলেও রাজনীতির আকাশে যে কালো মেঘ নেই তা বলা যাবে না।কারন শিল্প অধ্যূষিত এ আসনটির লোভ বা পাওয়ার আকাঙ্খার স্বপ্নে বিভোর আছেন অনেকেই।
এখনো দৃশ্যমান প্রচরনায় কোন প্রার্থি না এলেও তারা একে অপরকে ঘায়েল করতে পর্দার আড়ালে আটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।একই সাথে কেন্দ্রসহ বিভিন্ন মহলে চেষ্টা তদবিরের ডালপালা ছড়াচ্ছেন সংগোপনে।
এখন দেখার বিষয়, গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম -১ আসনে আগামি জাতীয় নির্বাচনে আসনটি নুরুল আমিন চেয়ারম্যান ধরে রাখতে পারেন কি না অথবা নতুন নেতৃত্বের আগমন ঘটে।এ নিয়ে নানামুখি সমীকরণ চলছে রাজনীতির অন্দর মহলে।