চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আলী।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,
“গণমাধ্যমকর্মীদের উপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা শুধু ব্যক্তি সাংবাদিকের উপর নয়, এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর আঘাত। এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
উল্লেখ্য যে,শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদক হোসাইন জিয়াদ ও ভিডিও ক্যামেরাপারসন মো. পারভেজ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কাজ করতে যান চট্টগ্রামের আলোচিত এলাকা জঙ্গল সলিমপুরে। এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে ভূমিদস্যু, অবৈধ দখলদার এবং অপরাধীদের কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় রয়েছে।
সংবাদ সংগ্রহের সময়ই একদল দুর্বৃত্ত তাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, গাছের ডাল ও পাথর ব্যবহার করে সাংবাদিকদের মারধর করে। এক পর্যায়ে তাদের মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং ভিডিও ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। এতে দুই সাংবাদিকই গুরুতর আহত হন এবং পরে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এই হামলার ঘটনায় -মোহাম্মদ আলী বলেন,
“সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করা মানে হচ্ছে সত্যের মুখ বন্ধ করে দেওয়া। সাংবাদিকরা জনগণের চোখ ও কণ্ঠস্বর। তারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন সমাজের অসংগতি তুলে ধরার জন্য। এ ধরনের হামলা প্রকারান্তরে দুর্নীতিকে, অন্যায়কে এবং অপরাধকে রক্ষা করার প্রয়াস মাত্র।”
তিনি আরও বলেন,
“নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় যারা কাজ করেন, তারা জানেন যে সংবাদমাধ্যমই প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠকে সবচেয়ে জোরালোভাবে তুলে ধরে। তাই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মানবাধিকারেরই অংশ।”
মোহাম্মদ আলী তার বিবৃতির শেষাংশে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান,
“অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ সাংবাদিকদের উপর এমন হামলা চালাতে সাহস না করে। সেইসাথে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি কার্যকর নীতিমালা তৈরি করা জরুরিও বলে মনে করেন তিনি।