মোঃ শেখ ফরিদ মিরসরাইঃ
ফিরে দেখা সদ্য অতীতে বাস্তব রাজনীতির একটি ছোট্ট অধ্যায়। ষড়যন্ত্র আমার জন্য নতুন কিছু না,২০০৩ সালে যখন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলাম, তখন থেকে আমি ষড়যন্ত্রে শিকার, ষড়যন্ত্র আমার জন্য নতুন কিছু না।
রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি যদিও পারিবারিকভাবে সবাই এন্টি আওয়ামী লীগ তথা বিএনপির সমর্থক হওয়ায় আমারও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ দেশপ্রেম এবং তার প্রতিষ্ঠিত আদর্শিক সংগঠন বিএনপির প্রতি আস্তা ভালোবাসা শ্রদ্ধার কোনটাই কমতি ছিল না শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া আদর্শিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আদর্শের প্রতি আমার আস্হা ভালবাসা বিশ্বাসের জন্য আমি জাতীয়বাদীর প্রতি আকৃষ্ট হই এবংআমি বিমোহিত হই তাদের দেশপ্রেম স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি মমত্ববোধ দেখে তাইতো আমি ফিরে আসি সেই আদর্শিক সংঘঠন জাতীয়তাবাদী বিএনপির পতাকা তলে এবং হাতে তুলে নেই মিরসরাইতে সেই সময়কার সদ্য গঠিত জাতীয়তাবাদী দলের দায়িত্ব,বাংলাদেশের ভিতর দ্বিতীয় খ্যাত মিরসরাই জাতীয়তাবাদীকে প্রতিষ্ঠিত করতে যেয়ে আমি বারবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছি তবুও কেউ আমার নীতি আদর্শের অগ্রযাত্রাকে রোধ করতে পারে নাই,আওয়ামী সরকারের ১৭ বৎসরধরে ছাত্রদল ও বিএনপির রাজনীতি করতে যেয়ে বিরতিহীন ভাবে দুর্গম পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কখনো কখনো থমকে দাড়িয়েছি, যেমন ২০১৪ সালে বিএনপির সভাপতি হোই, তখনও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যার চেষ্টা করে , তখন থেকে শুরু হয় মিরসরাইতে হত্যার রাজনীতি ষড়যন্ত্র হামলা আর মামলা, কিন্তু কোন কিছুই আমাকে আদর্শের অগ্রযাত্রা থেকে পিছু হঠাতে পারে নাই,দলের প্রতি সব সময় অবিচল থেকেছি বলে ষড়যন্ত্র আমার পিছু ছাড়ে নাই। ২০১৪ সালে আমি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হই , তখনও মিরসরাই উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে আমার পিছনে ষড়যন্ত্র, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তখনও নির্মমভাবে হত্যা করার চেষ্টা করে। কিন্তু ২০১৩ সালে সমস্ত বিরোধীদল যখন একসাথে হাসিনা বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম তখন স্বৈরাচারী হাসিনার পাতানো নির্বাচনে অন্যকোন দল অংশগ্রহন না করলেও আওয়ামীলীগ একাই ওই পাতানো নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে,এবং আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা মামলা হামলা করে, আমার উপর হয় কালো এক অদ্যায় নির্যাতন জেল জুলুম। তাও আমি একের পর এক সব কিছু ধৈর্য ধরে আমি আজও কালের সাক্ষী হয়ে বেঁচে আছি আমার কর্মীসহ সহযোদ্ধাদের মিথ্যা মামলা হামলার এবং বিচার দেখবার অপেক্ষায়। ভাই-বন্ধু স্বজনদের পরও আমি কিন্তু নীতি আদর্শ থেকে একচুলও পিছু হটিনি আমাকে কেউ কোন হুমকি-ধমকি চোখ-রাঙানিতে জিয়ার আদর্শ থেকে সরাতে পারে নাই শত বাঁধা বিপত্তি হামলা মামলা আর নেতা কর্মিদের হত্যা, ষড়যন্ত্রের ভিতরও আমি একদিকে দলের কর্মকান্ড পরিচালনা অন্যদিকে নেতাকর্মীদের মামলা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি ২০১৪ সালে মিরসরাই উপজেলা নির্বাচনে পাশ করেও আমি দায়িত্ব পালন শেষ করতে পারি নাই।
দলীয় পদ পদবীর অবস্হান,
২০০৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির দায়িত্ব পালন কালে চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দায়িত্ব পালন করেছি, ২০০৩ সালে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছি, ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৩ সাল থেকে বিএনপির জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে অদ্যবধি দলের দায়িত্ব পালন করছি, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় ১৪ সালে,মিরসরাই উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হই এবং বিপুল ভোটে জয় বরণ করি। ৫ নং ওসমানপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গঠনের পর থেকে অদ্যবধি চার-চারটে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছি কিন্তু ব্যর্থ হোয়নি,কিন্তু ঐ সিন্ডিকেটের কারণে ওরা টাকার কাছে নিজেদেরকে বিসর্জন দিতে কুণ্ঠাবোধ করে নাই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মিরসরাই থানা বিএনপির সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়ি বার বার পদবঞ্চিত হয়েছি মিরসরাই কিছু অযোগ্য অরাজনৈতিক নেতারা বারবার চক্রান্ত করে দলকে কুক্ষিগত করতে চেয়েছে এরা আসলে দলে কোন শিক্ষিত সচেতন নেতাকে জায়গা দিতে চায় না এদের দলের প্রতি পূর্বে কোন কন্ট্রিবিউশন ছিলনা আজও নেই,এদের ছিলনা দলীয়কোনো পদপদবী এরা কেউ কেউ অন্য রাজনৈতিক দল থেকে এই দলে এসে আজকে দলের ভিতর সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজেরা পদ-পদবী কুক্ষিগত করে রেখেছে,অনতিবিলম্বে আমি এবং আমরা যারা ছাত্ররাজনীতির নেতৃত্ব দিয়ে এসেছি এবং দুঃসময়ে দলের হাল ধরেছি সেই সমস্ত ছাত্র নেতা এবং দলের নিবেদিতরা এর অবসান চায়,বর্তমানে যারা নেতৃত্বে আছে তারা দলের মঙ্গলের থেকেও নিজেদের মঙ্গলের জন্য কখনো দলে কোন শিক্ষিত সচেতন লোক নেতৃত্বে আসুক সেটা তারা চাইনি মিরসরাই বিএনপিতে এমনও নেতা বর্তমানে নেতৃত্বে আছে যাদের পরিবারের অন্য কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আওয়ামী লীগ অথবা অন্য রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত বিষয়টি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে৷
আমার রাজনীতি অবস্থান
আমার নেতাকর্মী সহ আমরা সবাই জাতীয়তা বাদী দলের নেতাকর্মী সমার্থক আমার, আমি সক্রিয় রাজনীতি করি বলে তার জন্য আমার উপর প্রতিশোধ নিতে আমার নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে জেলখানায় বন্দি থাকতে হয়েছে,আমি জনগণের জন্য রাজনীতি করি বলে আমার জন্য আমার নেতাকর্মীরা অন্যান্য ভাইয়েরা বারবার মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছে এবং জেলখানায় নিক্ষিপ্ত হয়েছে ও পদপদবী থেকে বহিষ্কার হয়েছে ,আমার আপন ভাইসহ আমরা চাচাতো মামাতো ফুফাতো খালাতোভাই সহ মিরসরাই ভিতর হাজার হাজার নেতাকর্মী ও ভাই সবাই আমরা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত কেউ অন্য কোন দলের সাথে জড়িত নাই এবং কারো নামে কোনো মিথ্যা অভিযোগ বা কোন স্কান্ডেল কেউ দিতে পারবে না এমনকি আমার কোন নিকটতম আত্নীয়সোজন পর্যন্ত বিএনপি ছাড়া অন্য কোন দলের সহিত জড়িত নাই আমার জন্মস্থান মিরসরাইয়ের ৫ নম্বর ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রাম বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
মামলার শিকার এবং কারাবাস আমি রাজনীতির শুরু থেকে এপর্যন্ত অনেক রাজনৈতিক মিথ্যা সাজানো মামলার শিকার হয়েছি অনেক বার জেলখানায় নিক্ষিপ্ত হয়েছি।২০২৪ সালে হাসিনা সরকার পতনের জন্য স্বৈরাচারী বিরুদ্ধে রাজপথ থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি আন্দোলন সংগ্রাম করতে যেয়ে বহু হামলা মামলার শিকার হয়েছে, এবং শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে যেয়ে ২০১৮,২০২৩ সালে এবং ২৪ সালে কয়েকটি মিথ্যা মামলার শিকার হই।২০১৮ও২৪ সালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে একতরফা ভাবে সাজানো নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধা প্রদান করতে হবে মর্মে বাধা প্রদান করতে গিয়ে আমি ওই হত্যা মামলায় আসামি হই মামলাটি আজও চলমান এ ছাড়া ১৪ সালে আমি প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে, আমাকে অস্ত্র উদ্ধারের নামে বেদম টর্চার করে এবং ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে আমাকে নির্যাতন করে দেয় আজও আমি সেই আজও আমি সেই ষড়যন্ত্রের বোঝা নিয়ে বয়ে বেড়াচ্ছি, চট্টগ্রাম জেলায় সর্বপ্রথম আমি ২০১৪ সালের ডিসেম্বর নাশকতা মামলার শিকার হয়েছি এবং গ্রেপ্তার হয়েছি।
দলীয় আদর্শ বাস্তবায়ন করতে যেয়ে দল কে প্রতিষ্ঠিত করতে যেয়ে চাওয়া-পাওয়ার দিকে কোনদিন ফিরে তাকাইনি শত যন্ত্রণা সহ্য করেছি ত্যাগ স্বীকার করেছি দলের জন্য পদ পদবি চাইনি ভালোবাসা চেয়েছি কিন্তু তার থেকেও বঞ্চিত হয়েছি,যে দল কে প্রতিষ্ঠিত করলাম নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জানিনা আর কত পরীক্ষা আমাকে দিতে হবে,আদা শতাধিক মামলা খেয়ে নিজের কর্মীদেরসহ এবং সহযোদ্ধা সাথীদের হারিয়ে নিজে হামলা-মামলার শিকার হয়ে‘আমি জেলখাটিয়ে‘নিজে পঙ্গুত্ব বরণ করে‘৪০ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে আজ আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি জীবনে কোনদিন একটি টাকা চাঁদাবাজি করি নাই কোন মাদকের সাথে কোনদিন জড়িত থাকি নাই,দল বহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ডে কখনো জড়িত থাকি নাই, কোন নেতাকে কোনদিন অসম্মান করি নাই অবৈধ কোন ব্যবসার সাথে জড়িত নাই তাহলে কেন আমি পদবঞ্চিত, হয়তো আমার দোষ কেন আমি ১৭ বছর মিরসরাইতে দলের নেতৃত্ব দিয়েছি,আদা শতাধিক মামলা খেয়েছি, দলীয় আদর্শ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কেন আমি পদ হারালাম, দলের জন্য কেন আমি হামলা-মামলার শিকার হলাম আহত হলাম,কেন আমার শতশত কর্মী আমি জেলখানায় গেলাম। কেন আমার জন্য আমার সমস্ত ভাইদের কে মিথ্যা মামলায় স্বীকার হয়ে জেলখানায় নিক্ষেপ করালাম, কেন আমি আর্মির টর্চারে পঙ্গুত্ব বরণ করলাম- কেন আমি শত বাধার পরেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলাম, বিচারের দায়ভার আমি আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। আর কত ত্যাগ স্বীকার করলে কতদিন পরে এ দলের নেতৃত্বে আসা সম্ভব বলবেন কি।
পরিশেষে আমি মাথা নত করে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি যাদের নেতৃত্বে যাদের স্নেহ ভালোবাসা নিয়ে আজও আমি দীর্ঘ এত বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন নগণ্য কর্মী হিসেবে এখনো বেঁচে আছি।