এম,আনিসুর রহমান
মো. সোলাইমান হোসেন সেলিম ময়মনসিংহের ফুলাবাড়িয়া উপজেলার ধামর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। ধামর বেলতলি বাজারে সেলিম মুদির ব্যবসা করলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তাকে শহীদ দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
গত বছরের ৩ আগস্ট রাজধানীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে সেলিম গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে এমন অভিযোগ এনে তারই বড় ভাই গোলাম মোস্তুফা ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি করা হয়েছে ৪১ জনকে। মামলায় সাক্ষী করা হয় তাদের দুই সহোদর হেলাল উদ্দিন এবং আবুল হোসেনকে। সম্প্রতি জানা যায়, নিহত সেলিম আসলে জীবিত। এ নিয়ে হইচই পড়েছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়। স্থানীয় পুলিশ ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে তাদের বাবা আব্দুল হাকিম মারা গেলে জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় ভাইদের মধ্যে। সেলিম দুই কন্যা সন্তানের জনক হওয়ায় তার সকল সহায় সম্পত্তির মধ্যে নজর পড়ে বাকি তিন ভাইয়ের। বেশ কয়েকটি মামলায় আসামি হওয়ায় প্রায় ১৫ বছর ধরে বাড়িতে আসেন না মামলার বাদী মুস্তু। ঢাকা শহরে চালান বাস। সেলিমের অপর দুই ভাই কৃষিকাজ করে নিজবাড়িতে বসবাস করেন। এদিকে দুইটি হত্যাসহ চারটি মামলায় জড়িয়ে নিস্ব মোস্তফা ফন্দি আটে সেলিমকে নিয়ে। সেলিমের স্ত্রী হাজেরা খাতুন বলেন, সেলিমকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই নাটক সাজিয়েছেন তারই তিন ভাই। সেলিমের সম্পত্তি গ্রাস করতেই তাদের চলমান বিরোধ থামছে না। ভুক্তভোগী সেলিম বলেন, আমার দুই মেয়ে, কোনো ছেলেসন্তান নেই। দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাইয়েরা আমার সহায়সম্পত্তির ওপর লোভ করে আসছে। তাই আমার কোনো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করে এই মামলাটি করেছেন। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা দাবি করছি। সেলিমকে নিহত দেখিয়ে মামলা করার বিষয়ে মামলার সাক্ষী সেলিমের ভাই হেলাল উদ্দিনের মেয়ে ঝুমি আক্তার বলেন, শুনেছি মামলা হয়েছে কিন্তু বাবাকে কেন সাক্ষী করা হলো জানি না। ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলছেন পারিবারিক বিরোধের কারনেই জীবিত সেলিমকে মৃত দেখিয়ে তার ভাই মামলা করেছে। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
Leave a Reply