মোঃ কায়সার চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

সাতক্ষীরার তালায় সালিসি বৈঠকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল ইসলাম সহ ৩ জন আহত হয়েছে। অন্য ২ জন হলেন, ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের ভাই ও শুভাসিনী গ্রামের মৃত্যু ইউছুপ গাজীর ছেলে সফিকুল ইসলাম ও একই গ্রামের রবিউল ইসলাম গাজীর ছেলে আবু হুরাইরা। আহতরা তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, তালা উপজেলার ৫ নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শুভাসিনী গ্রামের মৃত্যু জাহাবক্স খাঁর ছেলে করিম খাঁ, আমজাদ খাঁ ও আলী মুনসুর খাঁদের মধ্যে পৈত্রিক জমি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিলো। উভয় পক্ষের আহবানে ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সাথে নিয়ে শালিসি বৈঠক বসেন। ইউপি সদস্য মনিরুল বিএনপি দলীয় লোক হওয়ায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে করিম খাঁ, আমজাদ খাঁ, আলী মুনসুর খাঁ, করিম খাঁ'র ছেলে খুলনা বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিদুল ইসলাম তার ভাই আমিনুর খাঁ ও মহাতাব খাঁ'র ছেলে বাসারাত খাঁ, তার ভাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুল ইসলাম ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের উপর পিছনের দিকে থেকে ধারালো দা, হাতুড়ি ও লোহার রড নিয়ে হামলা করে। এসময় তার মাথা ও পায়ে দায়ের কোপে ব্যাপক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তাকে উদ্ধারের জন্য ভাই সফিকুল ও আবু হুরাইরা এগিয়ে গেলে তাদের কেউ কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এসময় পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করেন। এঘটনায় তালা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি উভয় পক্ষের ডাকে সালিসি বৈঠকের জন্য গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ নিয়ে তাদের বাড়িতে যাই। সালিসি বৈঠক চলাকালীন সময়ে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই রাজনৈতিক কারণে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে করিম খাঁ, আমজাদ খাঁ, আলী মুনসুর খাঁ, করিম খাঁ'র ছেলে খুলনা বিএল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিদুল ইসলাম তার ভাই আমিনুর খাঁ ও মহাতাব খাঁ'র ছেলে বাসারাত খাঁ, তার ভাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুল ইসলাম আমার উপর ধারালো দা, হাতুড়ি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায়। পিছনের দিক থেকে আমার মাথায় ও পায়ে কোপ দেয়া হয় এবং হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটানো হয়। আমাকে উদ্ধারে জন্য ভাই সফিকুল ইসলাম ও আবু হুরাইরা সহ এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে, পিটিয়ে আহত করে। পরে পরিবারের লোকজন আমাদের উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি বলে জানান তিনি।
বক্তব্য নেয়ার জন্য আক্তারুল ইসলামকে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মাইনউদ্দীন বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রেকর্ড করা হবে এবং আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।