পলাশ সেন,চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগরে ২ মাসের দোকান ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারায় দোকানে তালা দেওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ জন আহত।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগরে ২ মাসের দোকান ভাড়া বিদ্যুৎ বিল সময় মত দিতে না পারায় দোকানে তালা দেওয়া কে কেন্দ্র করে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন আবু তাহের মিয়া আবু তাহের মিয়ার ছেলে নাঈম,শাহাবুদ্দিন,মহিউদ্দিন, তাহেরের মেয়ের জামাই মোহাম্মদ জসিম। অপর পক্ষের আহতরা হলেন নুর আলী ,মোঃ সানি, মোঃ টোয়ান আলী।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ও বিকেলে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান মাদ্রাসা থেকে দোকান ভাড়া নেয় তাহের মিয়ার ছেলে কিন্তু দোকানের ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল আটকে রাখে তারা। এই নিয়ে বাইতুল করিম মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। পরবর্তীতে শর্ত ভঙ্গ করায় গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ী দোকানে নগদ অর্থ ও আসবাবপত্র সহ দোকানে তালা লাগিয়ে দেয় । তালা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম পর্যায়ে হাতাহাতি ও কথা কাটাকাটির হয়। বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এতে মারাত্মকভাবে আহত হয় উভয় পক্ষের ৮ জন।
আবু তাহের মিয়ার ছেলে মোঃ নেজাম আমাদের প্রতিনিধি কে জানান, মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত মোঃ সোয়েব ও আনোয়ার উল্লাহ সহযোগিতায় ১০ থেকে ১৫ জন মিলে আমার পরিবারের উপরে হামলা চালায়। বিনা নোটিশে আমাদের দোকান বন্ধ করে দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আমরা যে দুইটি দোকান রয়েছে মেরামতের জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ একটার জন্য ১লক্ষ ২০ হাজার আরেকটার জন্য এক লক্ষ টাকা দিয়েছে যার কোন লিখিত তথ্য আমাদের দেয়নি। আমরা তিন মাসের সময় চেয়েছি আমাদের বকেয়া গুলা তোলার জন্য কিন্তু কোন সময় না দিয়েই বৃহস্পতিবার দুপুরে আমাদের দোকান বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আমরা যখন জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিলাম আমাদের দোকান বন্ধ করলে বকেয়া টাকা গুলা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। আমাদের কোন কথার গুরুত্ব না দিয়ে তারা বিভিন্ন লোকজন দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় এতে আমার পরিবারে পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমার বাবার অবস্থা ততো ভালো না।বর্তমানে সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।