মোঃ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
স্টাফ রিপোর্টার
বিগত১১ মাস আগে চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করেছিল নগর পুলিশ। গত এপ্রিলে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার রিকশা জব্দও করা হয়। কিন্তু এরপর সড়কে এসব রিকশার দৌরাত্ম্য ঠেকাতে না পেরে পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে এসব যানবাহন ব্যবহার না করার অনুরোধ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে নগরীতে চলাচলের অনুমোদন না থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশাও এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রকাশিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে। সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের সই করা এ গণবিজ্ঞপ্তি সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাটারিচালিত ও গ্রাম (চট্টগ্রাম নগরীতে চলাচলের জন্য নিবন্ধিত নয়) সিএনজি অটোরিকশা চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় চলাচলের অনুমোদিত নয়। কিন্তু এসব যানবাহন নগরীতে যানজটসহ সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। অধিকন্তু ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপ্রাপ্ত বয়স্করা চালক হিসেবে নিয়োজিত হচ্ছে। ফলে অনাকাঙ্খিত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
গত বছরের সেপ্টম্বর থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত ও অবৈধ ‘গ্রাম’ সিএনজি অটোরিকশার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও বেগবান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এতে নগরবাসীকে অবৈধ এসব যানবাহন ব্যবহার থেকে বিরত থেকে পুলিশকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করে সিএমপি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে পুলিশের জোরালো কোনো অভিযান ছিল না। এতে সড়ক ছেড়ে যেতে হয়নি অটোরিকশাগুলোকে। গত ১৮ এপ্রিল নগরীর কাপাসগোলা এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে খালে অটোরিকশা পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়। তখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের বিরুদ্ধে সরব হন।
এ অবস্থায় এপ্রিলে নগরীতে অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ করার পয়েন্টগুলোতে এবং সড়কে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে রিকশা উচ্ছেদে ব্যাপক অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন গ্যারেজে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়েও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। জব্দ করা হয় কয়েক হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ব্যাটারি।