তোষাদ রায়হানঃ
দেশে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। বেড়েছে খুনের ঘটনাও। বিভিন্ন জায়গায় ‘মব জাস্টিস’ করে গণপিটুনির ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ।প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,টিভি,পত্রিকা খুললেই দেখা যায়,ধর্ষন,প্রকাশ্যে হত্যা,ছিনতাই,সংঘবদ্ধ ডাকাতির চিত্র।দিন রাত, বাজার, রোড ইত্যাদি তোয়াক্কা না করে রীতিমতো অস্ত্র, রাম দা ছুড়ি দিয়ে চলছে ডাকাতি,ছিনতাইয়ের মহাযজ্ঞ।ধর্ষণ বেড়েছে আশংকাজনক হারে,স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ,মায়ের সামনে কন্যাকে ধর্ষণ, ধর্ষণ পরর্বতী হত্যা বেড়ে গেছে। গত আগষ্ট সরকার পতনের পর প্রসাসনের কোমলতা ও অযোগ্যতার কারণে দেশে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে নিয়মিত। রিকসা থেকে নামিয়ে অস্ত্র ধরে ছিনতাই,পথচারী কে রক্তাক্ত করে ছিনতাই,বাসা বাড়িতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতি ইত্যাদি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে এ সময়ে।এ নিয়ে দেশ বাসি আতংকিত ও ভীত। দেশে মেয়েরা পুরুষের সাথে সমান হারে,শিক্ষা,ব্যবসা,সংস্কৃতিতে এগিয়েছে।কর্মজীবী নারীর সংখ্যা বেড়েছে,স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের উপস্থিতি সমানে সমান।কোন কোন ক্ষেত্রে বরং নারীরা এগিয়ে।কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মেয়েদের কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত যাওয়া আসার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।অভিভাবক রা দুশ্চিন্তায় ভুগতেছে,ব্যবসায়ীরা ব্যবসা শেষে পথে হামলার শিকার হচ্ছে।কিন্তু বর্তমান প্রশাসন দেশের নাগরিক দের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।গত সরকার পতন আন্দোলনে পুলিশের অনেক সদস্য নিহত হওয়ার পর পুলিশের ভুর্মিকা নিয়ে বর্তমানে প্রশ্ন উঠছে।জনসাধারণ বলছে,পুলিশ আগের মতন টহল বা আগের উদ্যমে কাজ করছে না।উল্লখ্যে ৫ ই আগষ্টের পর গনহারে চোর,ডাকাত,সন্ত্রাসী সব অপরাধী কে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।মুক্তি পেয়ে আবার আগের রাজ্য পুনরুদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে,চাঁদাবাজি,ডাকাতির ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সব চিহ্নিত সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছেড়ে দিয়ে অপরাশন ডেবিল হান্ট নাম ঘোষণা দিয়ে দেশ জুড়ে অভিযান চালালেও অপরাধ নির্মুল হবে কিনা সে প্রশ্ন রয়েই যায়।
Leave a Reply