মোহাম্মদ আলবিন চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
ওয়ার্ল্ড প্রেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য, চট্টগ্রামের এডিটর ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশ্ব প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বলেছেন, নুরুল আবছার চৌধুরী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন। এ ধরনের ব্যক্তি বর্তমান সমাজে বিরল।
গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের শাসনকাঠামো গণতন্ত্রের যে ঘাটতি, দুর্বলতা লক্ষ্য করেছি, সেগুলোর ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সে কারণে রাজনৈতিক দল, নাগরিকসমাজ, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যাতে আমাদের পুনর্বার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে না হয়, প্রাণ দিতে না হয়, যেন গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার মোকাবিলা করতে না হয়। সেই ব্যাপারে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
মরহুম নুরুল আবছার চৌধুরীর মত ব্যক্তির এখন বেশী প্রয়োজন। আমরা তাঁর নামে নগরে একটি প্রধান সড়কে নামকরণ করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। যারা দুনিয়ায় জুলুম নির্যাতন করবে তারা আল্লাহর গজবে নিপতিত হবে। তাই আমাদেরকে জুলুম নির্যাতন থেকে দূরে থাকতে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী চলতে হবে। মানুষের প্রতি যারা ভালবাসা পোষণ করবে ও মানুষের দু:খ দুর্দশা লাঘবে যারা এগিয়ে আসবে আল্লাহ তাদের জন্য উত্তম পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন। নুরুল আবছার চৌধুরী মানুষের দুর্দশা লাঘবে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন আমাদের সকলকে তার পথ অনুসরণ করলেই সমাজ উপকৃত হবে। তিনি গত ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকালে চেরাগী পাহাড় লুসাই ভবনে লুসাই হলে গ্রিন গ্লোবাল ফেলোশিপের আয়োজনে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গ্রিন গ্লোবাল ফেলোশিপের চেয়ারম্যান কামরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তাঁর জ্যৈষ্ঠ সন্তান ইঞ্জি: মো: জাবেদ আবছার চৌধুরী বলেন, আমার পিতা নুরুল আবছার চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষামূলক জীবনের অবদান। পাকিস্তান আমলে তিনি ছিলেন ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৪ সালের সার্বজনীন ভোটাধিকার আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেন। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উপদেষ্টা। পাশাপাশি ইসলামবাদ টাউন কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি, আনজুমানে রাহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালসহ বহু সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনরা বলেন, “নুরুল আবছার চৌধুরীর কর্ম ও অবদান চট্টগ্রামের ইতিহাসে অনন্য। মহানগরে তাঁর নামে একটি সড়ক নামকরণ এখন সময়ের দাবি।” তাঁরা এই দাবিটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: শাহাদাত হোসেনের নিকট তুলে ধরেন।
দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবক অ্যাডভোকেট এম আবুল আব্বাছ কাদেরী, স্বপ্নযাত্রা সংগঠনের সেক্রেটারী মো: রকিব উদ্দিন চৌধুরী, নয়াবাংলা সম্পাদক জিয়াউদ্দিন এম এনায়েত উল্লাহ, এ আর রহমান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানিক রাসুল মো: রাইছু, এডভোকেট আবদুল গফুর, এস এম সাইফুল ওয়াদুদ, মো: মাসুদ রানা, রফিকুল ইসলাম, মো: গিয়াস উদ্দিন, মো: মাসুদ পারভেজ, স ম জিয়াউর রহমান, দৈনিক অর্থনীতির মোবারক হোসেন ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ইকবাল, সাংবাদিক এম হোসোইন, সাংবাদিক তানভীর, জুলাই যোদ্ধা মাওলানা ওসমান কাসেমী, মাওলানা আবদুচ ছোবহান, মো: মহিন, আরিফুল আকবর, থিয়েটার ইনস্টিটিউটের রিপন কুমার বড়ুয়া সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।