একসময় মাদ্রাসা মানেই কেবল ধর্মীয় শিক্ষার সীমাবদ্ধ জগৎ এই ধারণা এখন অনেকটাই বদলে গেছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান, ভাষা ও কারিগরি দক্ষতা অর্জন আবশ্যক। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে পটিয়া, চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রাইভেট মাদ্রাসা এখন আরবি, বাংলা এবং ইংরেজি শিক্ষার সমন্বয়ে একটি যুগোপযোগী পাঠক্রম চালু করেছে।
এই মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীরা যেমন ইসলামি জ্ঞান অর্জন করছে, তেমনি আধুনিক বিজ্ঞান, গণিত, তথ্যপ্রযুক্তি ও ভাষার দক্ষতাও সমানভাবে আয়ত্ত করছে। ফলে তারা শুধু ধর্মীয় দিক থেকে নয়, বরং পেশাগত ও সামাজিক দিক থেকেও যোগ্যতা অর্জন করছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সফল হতে সহায়তা করছে।
পটিয়ার কিছু প্রাইভেট মাদ্রাসা ইতোমধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে জাতীয় কারিকুলামের সঙ্গে সমন্বয় করে পাঠদান শুরু করেছে। তারা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে সহযোগিতা করছে, এবং অনেকে ভালো ফলাফল করেও দেশের বিভিন্ন উচ্চতর প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে করে অভিভাবকদের মধ্যে মাদ্রাসাগুলো নিয়ে এক ধরনের আস্থা তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে এসব মাদ্রাসা স্থানীয় জনগণের কাছে শিক্ষা ও শৃঙ্খলার মানদণ্ডে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অভিভাবকরা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
সময়ের চাহিদা বুঝে শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন ইতিবাচক পরিবর্তন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পটিয়ার প্রাইভেট মাদ্রাসাগুলো যে পথ দেখাচ্ছে, তা ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদ্রাসার জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা।
Leave a Reply