বাংলাদেশের কৃতি সন্তান নাজিম উদ্দিন, পটিয়া উপজেলার হাঁইদগাও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন পিতা মোঃ দুরুত আলী ও মাতা মোসাম্মৎ মিনহাজ বেগম।চার ভাইয়ের মধ্যে নাজিম উদ্দিন সর্বকনিষ্ঠ।
বাবার কৃষি কাজ থেকে কৃষক হওয়ায় তারা ভাগ্যবান হিসাবেই সফলতার অংশ হয়েছে। এলাকায় দরুত আলী মানুষের কাছে আজ ব্যাপক পরিচিত ও প্রসংশিত।
ওনার চার সন্তান আজ বাংলাদেশের সবোর্চ্চ সম্মানের জায়গা (সিআইপি)
এলাকায় সামাজিক মানবিক কাজেও তারা আজ অবদান রেখে চলছেন দেশের অসহায় মানুষের জন্য।
দেশ বিদেশে বর্তমানে সবজির চাহিদা অনেক গুণ বেশি, কাঙ্খিত উৎপাদন না হওয়ায় দেশের বেশির ভাগ মানুষ ছড়া দামে সবজি কেনাকাটা করেন।
প্রবাসের মাটিতে সবজি চাষ এ যেন এক নতুন চমক দেখালেন নাজিম উদ্দীন সিআইপি ও তার ভাইয়া।
মাটির উর্বরতা বিভিন্ন সার ব্যবস্থাপনার সঠিক প্রয়োগ না থাকায় বিদেশের মাটিতে সবজি চাষ হওয়াটা যেন এক দূরহ বিষয়।
সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার প্রয়াসে সফলতায় ওমানবাসীকে চমকে দিয়েছেন পটিয়ার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ও তার সহোদয়গণ। বর্তমান ওমানের বিশাল খালি জায়গায় সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন তাদের কোম্পানি।
প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী এই সবজি চাষের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ও অনেক শ্রমিক নিয়ে তাদের অর্থনৈতিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে।
তাদের উৎপাদনকৃত সবজি ওমানের মানুষের খাদ্য চাহিদার একটি বড় অংশ হিসেবে কাজ করছে বর্তমানে।
একটি দেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য খাদ্যের ঘাটতি পূরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ওমানে এই বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কেট কর্তৃক গত বছর এক অনুষ্ঠানমালায় রাষ্ট্রীয়ভাবে নাজিম উদ্দিনকে সংবর্ধিত করা হয়।
এ যেন এক বাংলাদেশের অনন্য অর্জন।
ওমানের সবজির চাহিদা মেটাতে নাজিম উদ্দীন ও তার অন্য ভাইয়েরা দিন রাত পরিশ্রম করে এ সফলতা এনেছেন।
নাজিম উদ্দিন জানান ওমানের শতশত একর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, সিম, বরবটি, ফল আলু পেঁপে সহ নানান সবজি উৎপাদনে আমরা শতভাগ সফলতা অর্জন করেছি ।
আমাদের এই সফলতা বাংলাদেশের আমার গ্রামের এবং দেশের সকল কৃষকদের উৎসর্গ করছি এবং আমাদের সিইআইপি পদে ভূষিত করায় বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্টেদর আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
ওমানের রাষ্ট্রদূত মাস্কেট সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদের প্রতি ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা আমাদের দেশ বাংলাদেশে ও ওমানে আরও অবদান রাখবো ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কেট কর্তৃক কৃষিতে অসামান্য অবদানের জন্য সম্মননা পাওয়া ও বাংলাদেশ সরকার কতৃক সিআইপি মনোনিত হওয়ায় নাজিম উদ্দিনকে পটিয়া প্রবাসী সমিতি ও পটিয়াবাসী আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তাদের এ অর্জন আজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার হাঁইদগাও ইউনিয়নের মানুষের মুখে-মুখে আলোচিত হয়েছে।
পটিয়াবাসীর সুখ দু:খের সাথী হয়েই তারা আজ স্কুল মাদ্রাসা মসজিদ নির্মানসহ একাধিক মানবিক কাজ করেছেন।
নাজিম উদ্দীন সকলের আন্তরিক দোয়া কামনা করে আরও বলেন ছোটকাল হতেই বাবার হাত ধরে আজ এ পর্যন্ত এসেছি আমরা চেষ্টা করছি বাংলাদেশের মাটিতেও উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করে দেশের প্রতিটি কৃষি জমিতে ব্যাপকহারে ফসল উৎপাদনের ইনশাআল্লাহ সরকার ও দেশের মানুষ সহযোগিতা করলে তাতেও সফলতা আসবে।
তিনি কৃষি জমিতে বিল্ডিং না করে বেশি বেশি চাষ করার অনুরোধ জানান এবং দেশের রপ্তানিখাতে অবদান রাখার জন্য সকলকে আন্তরিকতার সহায়তা সাথে কাজ করার অনুরোধ জানান।
লেখক: আলমগীর আলম।
সভাপতি :এপেক্স ক্লাব অব পটিয়া।
যুগ্ন সদস্য সচিব :পটিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম।