বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাংবাদিক–পুলিশ সম্পর্ক পুনর্গঠনের দাবি, নিরপেক্ষ আচরণে ফেরার আহ্বান,,দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পরও পুলিশের কিছু সদস্যের অহেতুক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশের হামলা ও অমানবিক আচরণ সমাজে চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের ছলিমপুরে এখন টিভির সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার পাশাপাশি, গতকাল ডাবলমুরিং থানার ওসির নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির মহানগর কমিটির সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও স্থানীয় ও জাতীয় মহলে নিন্দার ঝড় তুলেছে।
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুফতা বুশরা মিশমা এক বিবৃতিতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন—
“অতীতে স্বৈরাচারী শাসনের দোসর হয়ে পুলিশ প্রশাসন সাংবাদিক, রাজনীতিক ও সাধারণ মানুষের ওপর যে দমননীতি চালিয়েছে, আজও তার কিছু প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও পুলিশ বাহিনীর একাংশের এই মনোভাব পরিবর্তন না হওয়া দুঃখজনক এবং এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর হুমকি।”
তিনি বলেন—“সাংবাদিক ও পুলিশ—উভয়েই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একজন সত্য প্রকাশ করেন, অন্যজন আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষা করেন। তাদের মধ্যে বিরোধ নয়, পারস্পরিক সহযোগিতা ও পেশাদার সম্পর্কই হওয়া উচিত মূল ভিত্তি।”
সাগুফতা বুশরা মিশমা আরও বলেন— “আমরা চাই পুলিশ বাহিনী জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকুক। অহেতুক ঔদ্ধত্য, হুমকি বা বলপ্রয়োগ নয়—বরং মানবিকতা ও দায়িত্বশীলতার চর্চা হোক পুলিশের পেশাগত পরিচয়ের প্রতীক।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান—সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে কার্যকর সংলাপ আয়োজন, সম্মিলিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু, এবং অত্যাচারমূলক আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
বুশরা মিশমা বলেন— “জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ছিল জনগণের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। সেই চেতনার আলোকে পুলিশ প্রশাসনকে জনগণের সেবক হিসেবে নিজেকে পুনর্গঠিত করতে হবে, প্রভু নয়।”
তিনি শেষ করেন এই আহ্বান দিয়ে—“সাংবাদিক ও পুলিশ—এই দুই পেশা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং পরিপূরক। আমরা চাই সত্য, ন্যায় ও গণমানুষের অধিকারের পক্ষে একসাথে কাজ করতে।”