"মানুষ মানুষের জন্য" জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না।
এ কথাগুলো বাস্তবায়নে একজন মানবতার ফেরিওয়ালা হিসাবে পরিচিত মুখ পটিয়া পৌরসভার স্টেশন রোড গাউছিয়া মেজবানী হোটেল এর কর্নধার মানুষের জন্য কাজ করে চলা মানবিক মানুষ, ভোরের পাখিদের ভালবাসার মানুষ মোহাম্মদ নুরুল আলম সওদাগর।
প্রতিদিন ভোর বেলাতে আকাশ থেকে ছুটে আসছে একদল পাঁখি।
পটিয়া রেল স্টেশনের গাউছিয়া মেজবানী হোটেলের সামনে রেল লাইনের উপরে পাঁখিদের কিচিমিছি ডাক শুনেই দোকান হতে পাউরুটি, বিস্কুটসহ নানা শুকনো খাবার নিয়ে পাঁখিদের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছেন একজন মানুষ যার পরিচয় পটিয়ায় প্রতি সাপ্তাহের শুক্রবার দুপুরে সাধারণ অসহায় মানুষদের ব্যাক্তিগতভাবে একবেলা খাবার তুলে দেন এবং গাড়ী-ভাড়া হিসাবে নগদ টাকা বিতরন করে মানবতার সেবক হিসাবে পরিচয় লাভ করেন নুরুল আলম সওদাগর।
তাতেই তিনি মানুষ হিসাবে শান্তি পান—তাকে একটি সম্মানজনক, হৃদয়স্পর্শী এবং মানবিক উপাধি দিয়ে পটিয়ার মানুষ মানবতার ফেরিওয়ালা হিসাবে সমাধর করেন।
পাখিপ্রেমী মানুষ নুরুল আলম সওদাগর ছোটকাল হতেই নিজেকে মানবিক মানুষ হিসাবে তৈরি করতে চেষ্টা করে আসছেন।
ছোট বেলায় পরিবারের অসচ্ছলতা,আর্থিক টানাপোড়ন ও পরিবারের খাবার জোগাতে বাবার কষ্ট যেন প্রতি মুহূর্ত জুড়ে অনুভব করেই মানুষের জন্য উজার মনে কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
পিতা মৃত সৈয়দুল হক, মাতা মন্জুরা বেগমের বড় ছেলে নুরুল আলম।
তিনি যে প্রতিদিন ভোরের পাখিদের ভালবাসা দিয়ে আগলে রাখছেন তা সত্যি একজন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ হিসাবেই নিজেকে প্রসিদ্ব করে চলেছেন -নীরব সেবক যার এ সেবা চোখে পড়ে না কিন্তু অনেক মূল্যবান।
পাখিদের ত্রাণ দেয়া বড়ই মহৎ কাজ হিসাবে দেখছেন পটিয়ার সুশীল সমাজের অধিকাংশ মানুষ।
পটিয়া খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ট কলামিস্ট মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন
যিনি অন্যকে খাইয়ে শান্তি দেন, তিনিই তো মহান, তার তুলনা করার মত সমাজে কোন কিছুই নেই।
এটি মহা গৌরবের মানুষের জীবনকে বদলে দেয় এমন দৃশ্য।
নুরুল আলম সওদাগর বলেন পাখিদের খাবার দিতে না পারলে আমার অনেক কষ্ট হয়, কারন আমরা তো প্রতিদিন রুটিন অনুযায়ী পরিবার পরিজন নিয়ে খাবার খেতে পারছি কিন্তু পাঁখিদের পরিবার আছে নিয়মিত খাবার নেই।
তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারলেই আমি মানসিক শান্তি লাভ করি।
পাঁখিদের প্রতি এমন ভালবাসা মানবতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত।
নুরুল আলম সওদাগর যা প্রতিদিন করে চলছেন।
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে তৈরি করছেন পাঁখিদের প্রতি ভালবাসা মহান আল্লাহর রহমত ও নেয়ামত বলে মনে করেন বিশিষ্ট ব্যাংকার রফিকুল ইসলাম ইসলামাবাদী তিনি এ ধরনের মহতী কাজের প্রশংসা করেন এবং জনাব আলমের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া কামনা করেন।
পটিয়ায় মানুষের সেবার পাশাপাশি নুরুল আলম সওদাগর এর পাখিঁদের নিয়মিত খাবার পরিবেশন সমাজের মানুষের চোঁখ খুলে দিয়েছেন যা নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি ও মানুষের জন্য অনেকটা শিক্ষণীয় এবং অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
তা ছাড়া তিনি ভিবিন্ন সামাজিক সংগঠন পটিয়া সচেতন নাগরিক ফোরামের যুগ্ন আহবায়ক, পটিয়া ষ্টেশন রোড ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি, স্টেশন রোড শাহী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
লেখক: আলমগীর আলম।
সভাপতি :এপেক্স ক্লাব অব পটিয়া।
যুগ্ন সদস্য সচিব: পটিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম।
সমাজকর্মী পটিয়া।