মোঃ বজলুর রহমান, কক্সবাজার ( ঈদগাঁও)
কক্সবাজার জেলা, নব গঠিত ঈদগাঁও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কবি নুরুল হুদা সড়কের সংস্কারের কাজ বছরের পর বছর শেষ হয়না, ঠিকাদারের গাফেলতি ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সড়কটি সংস্কার করা হলেও কএকমাস যেতে না যেতে আবার সড়কটি ভেঙ্গে খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়, খোদাইবাড়ি আরকান সড়ক থেকে শুরু হয়ে পুরো ইসলামাবাদে বিস্তৃত সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে সড়কটির কার্পেটিং খুলে পেলায় বড় বড় গর্ত এবং ধুলাবালির কারণে পথচারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই ।
প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে পথচারী ও যাত্রীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, ইসলামাবাদ ইউনিয়নে গুরুত্বপূর্ণ কবি নুরুল হুদা সড়কটি ভেঙ্গে খানা খন্দে ভরে গেছে এবং কএকমাস আগে থেকে এসড়কের কার্পেটিং খুলে ফেলে দৃশ্যমান কিছু কাজ দেখা গেলেও এখন বর্তমানে তেমন কোন কাজ দৃশ্যমান দেখা যাচ্ছেনা, প্রতিদিন সাধারণ মানুষ এবং পথচারীদের অভিযোগ সড়কটির সম্পূর্ণ কাজ কখন শেষ হবে!
অতীতে সম্পূর্ন কাজ শেষ হলেও কএকমাস যেতে না যেতে কার্পেটিং ভেঙ্গে গিয়ে পাথর বের হয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয় । এসব গর্তে প্রায় সময় পানি জমে থাকে। এ কারণে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। রিক্সা, ভ্যান,ব্যাটারি চালিত অটো ও মোটর সাইকেল চালকরা চলাচল করতে গিয়ে প্রায় সময়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি টেকসই সংস্কার না হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন পথচারীসহ সর্বস্তরের জনগন। হালকা বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে থাকে কাঁদা-পানি। নেই পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা।ফলে পায়ে হেঁটে বা যানবাহনে পথ পাড়ি দিতে সাধারণ মানুষকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয় । কিন্তু এ দুর্ভোগ কমাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিংবা উপজেলা প্রশাসন এগিয়ে আসছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
৩নং ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান এসড়কের একাজগুলো ইউনিয়ন পরিষদের আন্ডারে না।
স্থানীয় লোকজন বলেন, ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে সড়কটির এ দুরবস্থা । বার বার বরাদ্দ দেয়ায় সরকারের কোটি কোটি টাকা তছনছ হয়েছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।