মহানগর প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বাকলিয়া স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াঙ্গনে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আজ রবিবার মাঠটির সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। ফর্টিস গ্রুপের অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। একই দিনে তিনি হালিশহর হাউজিং এস্টেটের বিডিআর মাঠের সংস্কার কাজেরও উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মেয়র বলেন, “আমার ইচ্ছা নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডেই খেলার মাঠ, ওয়াকিং স্পেস ও শিশুপার্ক গড়ে তোলা। চসিকের পক্ষ থেকে নাগরিকদের সুস্থ বিনোদন নিশ্চিত করতে আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য সরকারি সংস্থার সাথেও ভূমি বরাদ্দের বিষয়ে আলোচনা চলছে।”
তিনি বলেন, “আমি দেখেছি শিশুদের খেলার অধিকারেও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। টার্ফ মাঠ তৈরি হওয়ায় অস্বচ্ছল পরিবারের শিশুরা সেখানে খেলতে পারছে না। এটা যেন না হয়, সে জন্য আমার লক্ষ্য প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্মুক্ত খেলার মাঠ গড়ে তোলা। শিশুদের মাঠে ফিরাতে পারলে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের মতো সামাজিক সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।”
শিশু-কিশোরদের পরিপূর্ণ মানসিক ও শারীরিক বিকাশের ক্ষেত্রে মাঠ ও খেলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মেয়র আরও বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, ছোটদের অনেকেই এখন মোবাইলের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। এটা প্রযুক্তির যুগ, তবে সারাদিন মোবাইল স্ক্রিনে চোখ রাখলে সুস্থ দেহ গঠন সম্ভব নয়। একসময় যেসব রোগ শুধু ৬০ বছরের পর দেখা যেত, সেগুলো এখন ২০-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে। এটা একটি ওয়ার্নিং সাইন। এ অবস্থা থেকে বের হতে হলে শিশু-কিশোরদের মাঠে ফেরানো অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম একসময় খেলোয়াড় তৈরির কারখানা ছিল। এখন মাঠ সংকটে নতুন খেলোয়াড় উঠে আসছে না। তাই আমরা মাঠগুলোকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আধুনিকায়ন করছি।”
বাকলিয়া স্টেডিয়াম সম্পর্কে মেয়র বলেন, “এই মাঠটি কর্ণফুলীর পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। এটিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে পারলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব হবে। যেমন অস্ট্রেলিয়ায় ছোট ছোট গ্যালারিসহ আধুনিক মাঠ তৈরি করা হয়, তেমনি আমরাও এই মাঠকে একটি আদর্শ ক্রীড়াঙ্গনে রূপান্তর করতে চাই।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খালেকুজ্জামান,আমিনুল ইসলাম আমিন, আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল, মোশারফ হোসেন ডিপটি, ফরিদ আহমেদ বাবু, চসিক মেয়রের ক্রীড়া প্রতিনিধি আবদুল আহাদ রিপন, শাহাদাত হোসেন, মফিজুর রহমান মফিজ, গোলাম মোরশেদ চৌধুরী, নান্নু চৌধুরী, ইকবাল হোসেন ও আলী আকবর।