কে এই ড. নুরুল ইসলাম বীর চট্রলা তথা পটিয়ার গর্বিত সন্তান। কি তার পরিচয়? তিনি কে? আজ এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। পটিয়ার অনেকে তাকে চিনে না বললে চলে।পটিয়ার গুণী মানুষ পরিচয় বিভিন্ন জনের পাইলেও তার পরিচয় পাওয়া দুষ্কর। তিনি প্রথম শ্রেণির পটিয়ায় স্থান দখল করবে।২/৩ জনের মধ্যে তার নাম আসবে। এদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী তার অবদান অতুলনীয়। দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর সাথে কাজ করেছেন। এমনকি বঙ্গবন্ধু তার পরামর্শে দেশের জন্য সব কাজ করত।বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে অভিমান করে তিনি আমেরিকায় চলে যায় আর সেখানে মৃত্যু বরণ করেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু প্রেমিক ছিল।
পটিয়ার এই গুণীজনকে চিনে কিনা জানিনা। তিনি ছিলেন একজন অর্থনীতিবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
তার অবদান অতুলনীয় ও অনস্বীকার্য। তাকে সবাই ভুলতে বসে আছে। তার জন্য আমরা একটা দেশের অর্থনীতির কাঠামো এবং অর্থনৈতিক পুর্নগঠন পেলাম তা ভুলবার নয়।তিনি আজীবন দেশের জন্য কাজ করেছেন। দেশ ভাগের পর ভঙ্গুর অর্থনীতিকে যেভাবে চাঙা করেছে তা দৃষ্টান্তমূলক। তিনি ঢেলে সাজিয়ে দেশকে উন্নত বিশ্বে নিয়ে যাওয়ার পথে এক কুচক্রী মহল এর কারণে আবার পিছিয়ে পড়ে। তবুও তিনি আমাদের অর্থনীতির আইকন ও লিজেন্ড ছিলেন।
ড.নুরুল ইসলাম (মৃত্যু: ৯ মে ২০২৩) একজন বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ।[১][২] সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেবার পাশাপাশি বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও আইন গঠনে তাঁর নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য নুরুল ইসলাম উল্লেখযোগ্য। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকটতম পরামর্শদাতা। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনের বহু বাংলাদেশীর (ফখরুদ্দিন আহমেদ এবং মুহাম্মদ ইউনূস সহ) পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের নিকটতম পরামর্শদাতা। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অঙ্গনের বহু বাংলাদেশীর (ফখরুদ্দিন আহমেদ এবং মুহাম্মদ ইউনূস সহ) পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের উপ-চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন
তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের উপ-চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড.নুরুল ইসলাম স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পশ্চিম পাকিস্তান সরকারকে উপস্থাপন করা -৬-দফা কর্মসূচির প্রাথমিক অবদানকারী ১৯৭১ সালে,[৩] ইসলাম, রেহমান সোবহান এবং হাবিবুর রেহমান পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করেছিলেন।
তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক উন্নয়ন অর্থনীতিতে অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার (২০০৯) পেয়েছিলেন।[৪] তিনি মোট ২৯ টি বই রচনা করেছেন।
তার মৃত্যুতে দেশ হারাল একজন আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদ,রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তাকে হারানো দেশের ক্ষতি হল যা পুরণের নয়।তার মত একজন অর্থনীতিবিদ আর আসবেনা।দেশের জন্য তিনি যা করে দিয়েছেন তা বাঙালী সারাজীবন শোধ করতে পারবে না।স্বাধীনতার পরে একটা শুন্যদেশকে তিনি আমাদের পুর্নগঠনের জন্য যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তা জাতি আজীবন শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার সাথে স্মরণ করবে।
লেখক - গবেষক, অধ্যাপক ও সাবেক ছাত্রনেতা