এম.এইচ সোহেল:
মানবিক সম্প্রীতি সম্মেলন ও আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার ২০২৫–এ সম্মাননা প্রদান, বিশ্বের ৩৩টি দেশের মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচিত
বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও আইনবিষয়ক লেখক অর্ক রায় সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তাঁকে ‘মানবিক সম্প্রীতি সম্মেলন ও আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার ২০২৫’–এর ‘ইন্ডিভিজুয়াল ক্যাটাগরিতে’ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ৯ অক্টোবর ২০২৫, মালদ্বীপের ভিলা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অডিটোরিয়াম-এ।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট এবং প্রথমা বিজনেস ইনোভেশন ফোরাম জানিয়েছেন, সমাজে ন্যায়বিচার, মানবিক মূল্যবোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অর্ক রায়ের অবদান অনন্য। এই পুরস্কারটি বিশ্বের ৩৩টি দেশের মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে থেকে নির্বাচিত প্রাপ্তির স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করা হয়েছে, যা তার অর্জনের আন্তর্জাতিক মর্যাদা ও স্বীকৃতিকে আরও উজ্জ্বল করেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, মানবাধিকারকর্মী, সমাজকর্মী এবং কূটনৈতিক প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আয়োজক কমিটির অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে: “Mr. Aurka Roy has been honored for his invaluable contribution in promoting human harmony, justice, and peace through his legal writings and social awareness works.”
অর্ক রায় Independent24.tv-এ নিয়মিত লিখছেন আইন ও ন্যায়বিচার বিষয়ে। তাঁর লেখা সাধারণ মানুষের জন্য সহজবোধ্য ও তথ্যবহুল, যা আইনের জটিল বিষয়গুলো সহজভাবে বোঝাতে সহায়ক। তিনি বলেন:
“আইন ভয়ের নয়, এটি মানুষের সুরক্ষার প্রতীক। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই আমার প্রধান লক্ষ্য।”
অর্ক রায় এর এই অর্জন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁর কাজ প্রমাণ করে, নিষ্ঠা, দক্ষতা এবং মানবিক মূল্যবোধের মাধ্যমে সীমিত পরিসর থেকেও বিশ্বমঞ্চে স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব।
আয়োজকরা আরও জানিয়েছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই নয়, বরং ৩৩টি দেশের মনোনীত প্রার্থীর মাধ্যমে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধের বার্তা বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার উপস্থিতি অনুষ্ঠানের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
অর্ক রায় এর অর্জন বাংলাদেশের আইন ও মানবিক চেতনার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রতীক। তরুণ প্রজন্মের জন্য এটি প্রমাণ যে, প্রতিভা, নিষ্ঠা এবং মানবিক চিন্তা থাকলে বিশ্বমঞ্চেও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।