মো. আবদুল আলী
নোয়াখালী জেলা সেনবাগ উপজেলার ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের উত্তর গোরকাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কৃতি সন্তান ফেরদৌসী রহমান সুমি। তিনি স্থানীয়ভাবে শুধু নয়, জাতীয়ভাবে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছেন।
তার পিতা বিশিষ্ট দলিল লেখক রাজনৈতিক বিধ সমাজসেবক ও উত্তর গোরকাটা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সম্মানিত সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং মা সু-গৃহিনী আলো বেগম। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধার স্বাক্ষর রেখে আজ তিনি দেশের প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সফল শিক্ষিকা।
শিক্ষা জীবন
ফেরদৌসী রহমান সুমির শিক্ষাজীবন শুরু হয় উত্তর গোরকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অল্প বয়সেই ট্যালেন্টপুল বৃত্তি অর্জন করে তিনি এলাকায় সবার গর্ব হয়ে ওঠেন।
পরবর্তীতে বাতাকান্দি আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিকে আবারও ট্যালেন্টপুল বৃত্তি অর্জন করেন এবং ২০১৩ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ লাভ করেন।
২০১৫ সালে তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আল-হাজ্ব নূর মিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়ে ২০২০ সালে বিএসসি সম্পন্ন করেন। সিজিপিএ ৩.৭৮ (আউট অফ ৪.০০) এবং মেরিট পজিশন ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট অর্জন করেন।
একই বিভাগ থেকে ২০২২ সালে তিনি এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এবারও তিনি সিজিপিএ ৩.৯১ (আউট অফ ৪.০০) এবং মেরিট পজিশন ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট অর্জন করে নিজের মেধার স্বাক্ষর রাখেন।
কর্মজীবন
শিক্ষা জীবনের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ফেরদৌসী রহমান সুমি ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত কর্মরত থেকে নিজের দক্ষতা প্রদর্শন করেন।
২০২৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং বর্তমানে কর্মরত আছেন।
সম্মান ও শুভকামনা
ফেরদৌসী রহমান সুমি তার পিতা-মাতা ও এলাকাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ভবিষ্যতে আরও উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও সমাজের সেবা করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে যেন তিনি সুস্থতা, সফলতা ও দীর্ঘ নেক হায়াত লাভ করেন।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা কৃতি এই মেধাবী কন্যার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন।