১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বুধবার) এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের (এডব্লিউসিআরএফ) মহাসচিব মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২৫ উপলক্ষে দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মহাসচিব বলেন, “বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কেবল উদযাপনের দিন নয়। এটি একটি সতর্কবার্তা এবং দায়বদ্ধতার আহ্বান, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি মানুষের জন্মগত অধিকার রক্ষা করা এবং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব। তবে বাস্তবতায় আজও নারীরা, শিশুরা, শ্রমজীবী ও দুর্বল জনগোষ্ঠী নানা নিপীড়ন, বৈষম্য এবং অন্যায়ের শিকার হচ্ছে” অসহায় মানুষের আইনী সেবা নিশ্চিত হচ্ছে না, বর্তমানে দেশের মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করতে গেলেই মবের মতো নতুন এক নির্যাতন ও হেনস্থার স্বীকার হতে হয়। যেটা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।
৮ ডিসেম্বর গনমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, “দেশে শ্রমিক ও কৃষকের অধিকার লঙ্ঘন, শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়া, নারীর নিরাপত্তাহীনতা, মতপ্রকাশের ওপর চাপ এবং রাজনৈতিক সহিংসতা—এসবই দেখাচ্ছে যে কেবল মানবাধিকার দিবস উদযাপন যথেষ্ট নয়। বাস্তব পদক্ষেপ, সচেতনতা এবং সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দায়বদ্ধতা ছাড়া মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
এই সময় তিনি বিশ্ব পরিস্থিতিও উল্লেখ করে বলেন, “মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং অন্যান্য যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষ খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত। শরণার্থী শিবিরে শিশু ও নারীদের ওপর শোষণ ও নির্যাতন প্রতিনিয়ত ঘটছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও শক্তিশালী রাষ্ট্রদের অকার্যকর নীতি এবং রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে এসব মানুষের অধিকার প্রায়শই উপেক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, “এডব্লিউসিআরএফ সর্বদা নারী ও শিশুর অধিকার রক্ষা, নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। মানবাধিকার কেবল নীতিমালা বা দিবস উদযাপন নয়; এটি বাস্তব জীবনে কার্যকর পদক্ষেপ ও সক্রিয় উদ্যোগের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সকলকে শোষণ ও অবহেলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং মানুষের কণ্ঠস্বরকে উপেক্ষা না করতে হবে।”
মহাসচিব মোহাম্মদ আলী বলেন, “বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কেবল উদযাপন নয়, এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, অধিকারহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করাই দিবসের প্রকৃত মর্যাদা। সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলতা, সচেতনতা এবং ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ছাড়া এই দিবস কেবল মুখোশের আড়ালে উদযাপিত প্রতারণা হয়ে থাকবে। আমাদের সকলকে একসাথে দাঁড়িয়ে, শক্তিশালী নীতিমালা ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে মানবাধিকারকে জীবন্ত রাখতে হবে।”
মহাসচিবের বিবৃতিতে এডব্লিউসিআরএফ-এর অঙ্গীকার: নারী ও শিশুর অধিকার রক্ষা, নিপীড়িত ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো, সমাজে ন্যায় ও সমতার প্রতিষ্ঠা।
মহাসচিব, এ.ডব্লিউ.সি.আর.এফ