নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাউজানে সংস্কারের অভাবে মোহছেন আলী সড়কের বেহাল দশা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায় এবং দিনের পর দিন পানি জমে থাকে। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকার শত শত মানুষকে। তদারকি করারও কেউ নেই। মেরামতের জন্য কতৃপক্ষের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলাধীন রাউজান-নোয়াপাড়া সড়ক সেকশন-২ এর উত্তর গুজরা আদ্যপীট মন্দিরের উত্তর সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে পূর্বদিকে মোহছেন আলী জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত বিস্তৃত ব্যস্ততম এই সড়কটির অবস্থান। সড়কটি রাউজান সদর ইউনিয়নের মঙ্গলখালী গ্রামের সাথে সংযোজিত হয়েছে। দীর্ঘ এই সড়কটি পূর্বগুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরা গ্রাম, কদলপুর ইউনিয়ন ও রাউজান সদর ইউনিয়নের সর্বসাধারনের জন্য গুরুত্বপূর্ন ও বিকল্প সড়ক হিসেবে অধিক পরিচিত। স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী সহ তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজারের অধিক সর্বসাধারনের যোগাযোগের জন্য এই সড়কের গুরুত্ব অপরিসীম।
বিকল্প এই সড়ক ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী রাউজান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রমজান আলী হাট, উত্তর গুজরা উচ্চ বিদ্যালয়, আর্য্যমৈত্রিয় হাইস্কুল, আদ্যপীট মন্দির সহ পার্শ্ববর্তী জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় যাতায়াত করে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ গোলাপ রহমান ও সামশুল আলম বলেন অনেক বছর আগে মেরামতের নামে যেনতেন করে যদিও রাস্তায় ইট বিছানো হয়েছিল। ইট বালির সঠিক ব্যবহার না করার কারনে কয়েক মাসের ব্যবধানে পুনরায় নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি।
মোস্তফা কামাল ও বেলাল হোসেন নামের উত্তর গুজরা গ্রামের অপর দুই বাসিন্দা বলেন,পরিতাপের বিষয় হলো বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে দীর্ঘ পুরানো এই ইট সলিং উঠে গিয়ে খানা-খন্দকসহ অসংখ্য গর্ত থাকায় প্রায়ই ট্যাক্সি,মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। শিশুদের স্কুল-মাদরাসায় পাঠানো কঠিন হয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের যাতায়াতে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টির ছিটাফোঁটা পড়লেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
স্থানীয় এক প্রবাসী আক্ষেপ করে বলেন, এই রাস্তাটি আমরা এলাকাবাসী মিলে নিজ উদ্দ্যোগে বেশ কয়েকবার মাটি ভরাট ও ব্রিক সলীন করেছি। কিন্তু রাস্তার ব্যবহার সঠিক ভাবে হয়নি। ইটের ট্রাক, মালবাহী গাড়ি ঢুকানোর কারনেও রাস্তা খারাপ হয়ে পড়ার অন্যতম কারন বলে দাবী তাদের। সংস্কার, তদারকি ও মেরামতে উপজেলা কতৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে সড়কটির পূনসংস্কার সম্ভব বলেও অনেকে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সাথে এলাকাবাসী কার্পেটিং বা পিছ ঢালায় করে সড়কটির স্থায়ী সংস্কারের জন্য উপজেলা কতৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।
সম্প্রতি রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সুপারিশক্রমে ও উপজেলা কতৃপক্ষের উদ্যোগে অনেক সড়কে কার্পেটিং ঢালায় হয়েছে। সেক্ষেত্রে তুলনামূলক গুরুত্বপূর্ন সড়ক হিসেবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোহছেন আলী সড়কে কার্পেটিং ঢালায় করে স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগ নিলে উপকৃত হবে উক্ত এলাকার ভুক্তভোগী হাজার হাজার মানুষ।