মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান’-এর শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন—“স্বাধীনতা অর্জনের চেয়েও তা রক্ষা করা কঠিন। শহীদদের আত্মত্যাগের আলোতেই গড়ে উঠবে নতুন বাংলাদেশ।”
দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদ্য যোগদানকৃত চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শেখ ফজলে রাব্বি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন—ডা. একরাম হোসাইন, ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল,,ডা. জাকির হোসেন ভূঁইয়া, সহযোগী অধ্যাপক, থোরাসিক সার্জারি বিভাগ, চমেক,,ডা. রেজাউল করিম,
সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক মালিক সমিতি ও এমডি, পার্কভিউ হাসপাতাল
ডা. মো. ইউসুফ, এমডি, ন্যাশনাল হাসপাতাল চট্টগ্রাম,,ডা. মো. ইরফান চৌধুরী, সেক্রেটারি, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম চট্টগ্রাম
ডা. মুবিন উল হক, রেজিস্ট্রার, নিউরোলজি বিভাগ, চমেক,,ডা. সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার, থোরাসিক সার্জারি বিভাগ, চমেক,,প্রকৌশলী রিজিয়া সুলতানা, তত্ত্বাবধায়ক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম,,প্রকৌশলী মনি কুমার শর্মা, নির্বাহী প্রকৌশলী
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণ, জুনিয়র কনসালটেন্টবৃন্দ, শহীদ পরিবারের সদস্যরা, আহত আন্দোলনকারীরা, তাদের চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আলোচনা পর্বে বিভাগীয় পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন,
“জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলন ছিল গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জাগরণ। শহীদদের আত্মত্যাগ যুগে যুগে জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে। গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন।”
সভা শেষে ডা. মো. ইরফান চৌধুরীর পরিচালনায় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল এক গভীর গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ। দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও গণতন্ত্র রক্ষায় এক নবপ্রেরণার সুর বাজতে থাকে আয়োজনজুড়ে। এই আয়োজন শুধু শহীদদের স্মরণ নয়— এটি ছিল নতুন বাংলাদেশের পথে শপথবদ্ধ এক গোষ্ঠীর অগ্রযাত্রার সাক্ষ্য।
Leave a Reply