যে বয়সে ওরা থাকার কথা স্কুলে সে বয়সে তারা ভিক্ষা বৃত্তি ও আমড়া বিক্রি করে গলায় ঝুড়ি ঝুলিয়ে ভিক্ষা করে সংসার চালানো মাকে সহযোগিতা করে চলছেন। আজ চট্টগ্রাম মুরাদ পুর এলাকায় এ দৃশ্য দেখতে দেখতে চোখের জ্বল থামাতে পারিনি।
কুমিল্লার ব্যাক্ষনবাডিয়ার রফিক রিকশা চালাতেন চট্টগ্রামে বাড়ীতে জায়গা জমি না থাকায় স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়ে নিয়ে চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন কিছু পূর্বে হটাৎ স্টোক জনিত কারনে রফিক মারা গেলে পরিবারে নেমে আসে অচল অবস্থা। অসুস্থ স্ত্রী কোন কাজ করতে না পারায় বেচে নেন ভিক্ষা বৃত্তি।
৭ বছরের ছেলে ইছহাক ও ৪ বছবের মেয়ে ও মাকে সহযোগিতা করতে মায়ের সাথে ভিক্ষা বৃত্তি ও আমড়া বিক্রি করে সংসারের হাল ধরেছেন আহারে জীবন কতই না করুন দৃশ্য।
কথা হয় দুই ভাই ও বোন ইছহাক ও চাঁদনির সাথে তারা জানে না তাদের ভবিষ্যৎ কি আলোকিত নাকি অন্ধকার।
মানুষ মানুষের জন্য সে বিবেচনা নিয়ে সামান্য আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি তাদের।
তাদের চোখে মুখে ক্ষুধার্ত চেহেরা দেখে মনে হলো কতদিন তারা অনাহারে। আমরা আমাদের সমাজ রাষ্ট্রের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রতিটি মুহূর্তে চিন্তিত।
মনেরভাবটুকু প্রকাশ করার কোন মাধ্যমেই যেন আটকে যায় এসব শিশুদের জন্য আলাদা কি শিশু মন্ত্রনালয় করা প্রয়োজন? নাকি শিশু আশ্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে তাদের লেখাপড়া ও যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন এটাই বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন রাখছি।
লেখক: সভাপতি, এপেক্স ক্লাব অব পটিয়া।
যুগ্ন সদস্য সচিব, পটিয়া সচেতন নাগরিক ফোরাম।