মোঃ শফিকুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সময় উপযোগী জীবনে প্রতিটি সময় সবসময় বেদনাদায়ক হয়। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে কিছু রাগ অভিমানকে প্রাধান্য দেই। মানুষ নিতান্তই প্রকৃতির মায়ায় প্রেমে পড়ে। জীবনে বাঁচার জন্য সংগ্রাম করে, ত্যাগ স্বীকার করে, কষ্ট করে, পরিশ্রম করে, আরাম-আয়েশ করে এবং কি আরো কতো কিছু করে। জীবন নামের দিনকাল আমরা দিনাতিপাত করি তা অনুভব করতে পারি না। কেননা প্রতিটি জীবন চায় সুস্থ, সুন্দরভাবে বসবাস করতে। কেউবা হয় ধনী, কেউবা হয় দরিদ্র। কেউবা হয় অর্থ বিত্তশালী, কেউবা হয় সোনার খনি। আসলে জীবন সবসময় থেমে থাকে না। সময়ের ক্রান্তিকালে মানব জীবন তিনটি বিষয়টি বেশিরভাগ কেয়ার করে। প্রথমত: জন্ম হয়েছে কিন্তু জন্মগ্রহণ কিভাবে হলো মানব বুঝে নাই। দ্বিতীয়ত: বিয়ে কি জিনিষ এটা মানব জীবন সঠিক পন্থা বুঝে না। তৃতীয়ত: মৃত্যু কখন কিভাবে কোন সময়ে হবে বুঝতে পারে না। এর পিছনে কি কারণ আছে তা মহান সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি কাজকর্ম নিয়ে মানব জীবন অতিবাহিত করে থাকে। কিছু কিছু বিষয় জানা ও দেখা যায় যে, কম বয়সী মানব জাতি বেশির ভাগ নিজেদেরকে স্থির করতে পারে না। এটার কারণ আছে। সময়ে সময়ে আমাদের সমাজে চারপাশে শিক্ষা, সংস্কৃতির অভাব আছে। দরিদ্র হারে বসবাস করে অর্ধাহারে, অনাহারে দিনকাল কাটায়। ভালোভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ জীবন যাপন করবে তা সহজে কেউ করতে পারে এবং কি করতেও পারে না। তার কারণ, একটাই অর্থ নেই বললেই চলে। অর্থই মানব জীবনের পরম বন্ধুও বটে। গণহারে আমাদের সমাজে যে সকল মানব সৃষ্টি হয় তা খুব কম বয়সী দরিদ্র ঘরে জন্ম হয়। তার পিছনে কারণ, দরিদ্র সমাজে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, পিতা-মাতা তার সন্তানকে চায় সবসময় ভালো থাকুক। ভালো থাকবে কিভাবে? দরিদ্র ঘরে জন্মগ্রহণ হয়ে অভাব অনটনে দিনকাল কষ্টে, বেদনায় কাটায়। যার ফলে জীবন চালাতে তাদের কষ্ট হয়ে যায়। অনেক মানব জীবন অভাব অনটনে ঋণগ্রস্থ হয়ে অনেক সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যেহেতু, জীবনে বাঁচতে হলে তাঁর প্রচুর অর্থের প্রয়োজন আছে। সেই অর্থ তার নাই। সে পাবে কোথায়? সমাজ, দেশ, জাতি তথা প্রশাসন যদি পাশে দাঁড়ায় বা উদ্যোগ নেয় তাহলে সম্ভব। সম্ভবকে অনেক মানব অসম্ভব মনে করে, দেশের জন্য বোঝা মনে করে। এগুলো কৃষ্টি, কালচারগুলো সবিনয়ে যদি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয় তাহলে সকল সমস্যা সম্ভব। সাম্প্রতিক কালে জীবন যাপন প্রতিটি মানবের জন্য সহিষ্ণু হয়। হিতাহিত জ্ঞান থাকতে পারে তবে জীবন চালানো কঠোর হয়ে যায়। জীবনের জয়গান কখন শুনবে মানবজাতি? মানবজাতি দরিদ্র হয়ে জীবনের জয়গান শুনতে পারবে না। সঠিক পন্থা অবলম্বন করে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রণয়ন করে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
Leave a Reply