মোঃ জামশেদুল ইসলামঃ
রমজান মাসেও ভোজ্যতেলের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরেনি। কৃত্রিম সংকটের অভিযোগের মুখে কঠোর অভিযান ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের পরও দোকানে দোকানে মিলছে না নির্ধারিত মূল্যে বোতলজাত সয়াবিন তেল। ক্রেতাদের অভিযোগ, নির্ধারিত দাম ১৬০ টাকা থাকলেও অনেক জায়গায় ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে।
চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সরবরাহ বেড়েছে বলে দাবি করলেও বাস্তবে অনেক দোকানে তেল মিলছে না। জেলা প্রশাসনের টাস্কফোর্স ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লাগাতার অভিযানে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, তবে স্বাভাবিক হয়নি বাজার পরিস্থিতি।
নগরীর বাসিন্দা রাফসানুল আলম বলেন, “দাম কমার কথা শুনেছি, কিন্তু দোকানে গিয়ে দেখি এক লিটার তেলের দাম ১৯৫ টাকা। তাহলে এই নির্ধারিত মূল্য আসলে কাদের জন্য?”
একই অভিযোগ আকবর, যিনি ১৮০ টাকায় এক লিটার তেল কিনতে বাধ্য হয়েছেন। তার মতে, আগে তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে হতো, এখন সেটি না লাগলেও দাম এখনো নাগালের বাইরে।
খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন চৌধুরী জানান, “সরবরাহ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে, দামও ২০-৪০ টাকা কমেছে। আশা করি দ্রুতই বাজার স্বাভাবিক হবে।” তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুদামে অভিযান চালানোর হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও বাজারে আশানুরূপ প্রভাব পড়েনি।
সরকারি উদ্যোগের পরও দাম কেন কমছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের আরও কঠোর নজরদারি এবং কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সাধারণ ভোক্তাদের ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে।