মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
স্টাফ রিপোর্টার
কক্সবাজার শহরের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় এক চাকমা যুবককে জবাই করে হত্যার পর তার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বীরেল চাকমা নামে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, হত্যার পর রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে পাকড়াও হয়ে পুলিশের হাতে আটক হন ঘাতক বীরেল চাকমা।
নিহত ব্যক্তির বয়স ৫৫ বছর, তিনি রাঙ্গামাটির বাসিন্দা। আটক করা হয়েছে ৫৪ বছর বয়সী একজনকে, যিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তারা স্থানীয় সুপারি বাগানে মজুরের কাজ করতেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক নারী তার স্বামীকে মেরে ফেলছে বলে চিৎকার করছিল। আমরা ৫-৭ জন এসে দেখি ওই নারী অর্ধনগ্ন অবস্থায় আছেন।
“আমরা তাড়াতাড়ি ঘর থেকে কাপড় এনে তাকে দেই। তাকে নিয়ে তার ঘরের দিকে যাওয়ার সময় একজন পুরুষ চলে যাচ্ছিল, তখন ওই নারী দেখিয়ে দেন এই মানুষটি তার স্বামীকে হত্যা করেছে। তখন আমরা তাকে আটক করে রাখি।”
এই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, “পরে ঘরে গিয়ে দেখি একটি কামরাতে লাশ পড়ে আছে। মরদেহের মাথার পেছনে অনেকগুলো কোপ ছিল। আমরা সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেই, পুলিশ এসে লাশসহ তাদের নিয়ে গেছে।”
স্থানীয়রা আরও বলেন, আটক করা ব্যক্তিকে গত দুই মাস ধরে এলাকায় দেখা গেলেও নিহত ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে আগে দেখা যায়নি।
নিহতের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তারা রাঙামাটিতে আনারসের ব্যবসা করতেন, সেটা দিয়ে সংসার চলে না, তাই তিন দিন আগে সুপারি বাগানে কাজ করার জন্য কক্সবাজারে আসেন এবং পূর্ব পরিচিত ওই ব্যক্তির বাসায় উঠেন।
এই নারী অভিযোগ করে বলেন, স্বামীকে হত্যার পর ওই ব্যক্তি তার সঙ্গে 'খারাপ কাজ' করেছে। এক পর্যায়ে তিনি পালিয়ে এসে মানুষ ডাকেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি ইলিয়াস বলেন, “দুই চাকমা পরিবারের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি মদ্যপ হয়ে স্বামীকে হত্যার পর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারে।
“হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
উদ্ধার করা নারীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে এবং প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলেও জানান ওসি।