মোসলেহউদ্দিন বাহার, চট্টগ্রাম :
অদ্য ১৮ ডিসেম্বর ২৫' দুপুর ১২.৩০ ঘটিকায় মানববন্ধনটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পতেঙ্গা থানার ৩৯নং ওয়ার্ডে ছালেহা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় আয়োজন করা হয়। মানবন্ধনে ছালেহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০জন শিক্ষক শিক্ষিকা, ৭০ জন ছাত্রছাত্রী, স্বপ্নীল ব্রাইট ফাউন্ডেনের ১০জন কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি জনাব মামুন, জনাব মাসুদ, বিদ্যালয়ের সম্মানীত পরিচালক জনাব মো: সেলিম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ অংশগ্রহন করেন। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন হাতে নিয়ে মানববন্ধনের সাথে একাত্নতা প্রকাশ করে। স্লোগানগুলো হলো: Green Energy, Green Life, জীবাশ্ম জ্বালানি পরিহার করুন, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করুন, জীবাশ্ম গ্যাস পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর, মানুষের জন্য বিষাক্ত,সবুজ ভাবনা, সবুজ কাজ, শক্তি সঞ্চয়ই আমাদের কাজ,আজকের নবায়নযোগ্য শক্তি, আগামী প্রজন্মের মুক্তি”
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা না হলে তাহলে আমরা সামুদ্রিক ও পরিবেশগত ক্ষতির মুখোমুখি হবো পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে আামাদের আগামী প্রজন্ম।
স্বপ্নীল ব্রাইট ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আলী শিকদার তাঁর বক্তব্যে বলেন, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং জাহাজের চলাচল সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি করে, বিশেষ করে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ অঞ্চলে টার্মিনাল নির্মাণে পানির গুণগত মান কমে যায় এবং ভারী ধাতু ও অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে যার ফলে পানি দূষণ হয়। যার ফলে মাছের প্রজাতি ও সংখ্যা হ্রাস পায়, যা সামুদ্রিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। এছাড়াও LNG প্ল্যান্ট থেকে বিষাক্ত বা দাহ্য পদার্থের অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন বিস্ফোরণ বা অন্যান্য দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
উপকূল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জনাব জোবায়ের ফারুক লিটন বলেন, এলএনজি-কে 'পরিষ্কার' জ্বালানি হিসেবে প্রচার করা হলেও, এর মিথেন লিকেজ এবং সামগ্রিক কার্বন ফুটপ্রিন্ট এটিকে কয়লার মতোই বা কিছু ক্ষেত্রে আরও বেশি ক্ষতিকর করে তোলে, যা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদেরকে অবশ্যই এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সম্মিলিত ভাবে জোড়ালো ভূমিকা পালন করতে হবে।