চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী সহপাঠীদের নির্মম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছে। সন্তানকে ডাক্তার বানানোর স্বপ্ন দেখা শিক্ষক বাবা সন্তানকে সুস্থ ফিরে পাবে কিনা আল্লাহ ভালো জানেন। চট্টগ্রাম মেডিকেলের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিক্ষার্থী আকিবের মাথায় সাদা কাপড়ে লিখা "হাঁড় নেই মাথায় চাপ দিবেন না " এই লিখাটা পড়ে হৃদয়ের স্পন্দন কেঁপে উঠে বার বার। এই কেমন প্রতিহিংসা পরায়নতা নিজ সহপাঠীর প্রতি। ছাত্র রাজনীতি হওয়ার কথা আদর্শের। সেটা না হয়ে আজ সেটা হানাহানির, রক্তপাতের, প্রতিহিংসার। অনেক বড় বড় নেতাদের আদেশ নির্দেশ থাকে এসব ঘটনায়। কর্মী মারা গেলে জানাযায় অংশ নেয়া, পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়া, পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে নেতার দায়িত্ব শেষ। যার চলে যায় সে বুঝে বিচ্ছেদে কি যন্ত্রণা। কবরে ফুল দিয়ে লাশের পাশে দাঁড়িয়ে গলাবাজি করে চলে যাবে। পরিবারের শোক শক্তিতে রুপ নিবে যে চলে যাবার সে আর ফিরে আসবেনা। এই সব কি চলতেই থাকবে.? আমি শংকিত আমার ভাই, আমার সন্তান ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমন ঘটনা শুনার পর উদ্বেগ, উৎকন্ঠায় দিন কাটে। নেতাদের কাছে প্রশ্ন,
আর কত মায়ের বুক খালি হলে,আর কত লাশ পরলে আপনাদের নেতৃত্ব শক্ত হবে.? আজ আমি লজ্জিত ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী হিসেবে। নিজেরা নিজেদের সহকর্মীকে খুন করে হত্যা করে কিসের রাজনীতি। কার স্বার্থে, কার হুকুমে। লাশের নয় আদর্শের রাজনীতি হোক ভবিষ্যতে।
লেখক:- সামাজিক সংগঠক,
মানবিক কর্মী,ও রাজনীতিবিদ।