বিশেষ সংবাদদাতাঃ
চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দরটিলা এলাকার সাচি মালুমের রোডের প্রকাশ আশার মার বাপের গলিতে অনুষ্ঠিত হলো প্রাণবন্ত এক ‘হাউস ক্যাম্পেইন’। ৩৯নং ওয়ার্ডের এই সরাসরি জনসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত চট্টগ্রাম-১১ আসনের আগামীর এমপি প্রার্থী জনাব শফিউল আলম ও ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ সাহেদ।
ক্যাম্পেইনে সহিত ছিলেন ওলামা ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা হারুন আর রশিদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইপিজেড থানা সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ৩৯নং উত্তর ওয়ার্ড সেক্রেটারি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এবং ওয়ার্ডের অন্যান্য দায়িত্বশীল নেতা-কর্মী ও শত শত সমর্থক।
শুরুতেই নেতা-কর্মীরা এলাকার নানা গলিপথে গিয়ে জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংলাপ করেন। সাধারণ মানুষ ড্রেনেজ বন্ধ, রাস্তাঘাটের নাড়ীগুটি,
আলোকসজ্জা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত দাবি তুলে ধরেন। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এমন সরাসরি যোগাযোগের অভাব ছিল, তাই এ ধরনের হাউস ভিজিট তাদের মধ্যে নতুন প্রত্যাশা জাগিয়েছে।
জনতার উদ্দেশ্যে শফিউল আলম বলেন,“আমরা ভোট চাইছি না কেবল; আমরা প্রতিশ্রুতি চাইছি—একটি নিরাপদ, স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার অঙ্গীকার। দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার কোনো ভাবেই সহ্য করা হবে না। আমাদের লক্ষ্য—সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি মুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা।”
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন,“যে সমাজে নিরাপত্তা ও ন্যায় নেই, সেখানে উন্নয়ন টেকসই হয় না। তাই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ—স্থানীয় স্তরে কার্যকর পুলিশি সহায়তা, স্বচ্ছ টেন্ডার ব্যবস্থাপনা, অনৈতিক চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং সামাজিক নজরদারীর মাধ্যমে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।”
কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ সাহেদ মাঠ থেকে প্রতিশ্রুতি দেন,“ওয়ার্ডের প্রতিটি বাসিন্দা যেন শান্তি ও মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারে—এই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করব। অনিয়ম দূরীকরণে আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে সহযোগিতা সুদৃঢ় করব এবং যেকোনো অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেব।”
ক্যাম্পেইন শেষে শফিউল আলম জানান, জনগণের অভিযোগ-প্রস্তাব সংগ্রহ করে তা প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়া হবে এবং নিয়মিত ফলো-আপের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে কার্যকর সমাধান দাবি করা হবে। তিনি বলেন, নাগরিক অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছ প্রশাসন ছাড়া সন্ত্রাস ও অর্থবাজারির মতো সমস্যা নির্মূল করা সম্ভব নয়।
সকাল-দুপুরব্যাপী চলা কর্মসূচিতে স্থানীয়দের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো ছিল। এলাকার প্রবীণ ও তরুণরা দু’পাশে দাঁড়িয়ে নেতাদের তৎপরতা জরুরি মনে করেন এবং স্বচ্ছ নেতৃত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার ও নিরাপদ পরিবেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা প্রকাশ করেন।
শফিউল আলম–সাহেদরা বলছেন—প্রতিশ্রুতি শুধু বাণী রাখার জন্য নয়; বাস্তব কর্মেই প্রমাণ দেখাতে চান তারা। এরপরই স্থানীয় নেতৃত্ব তথা নাগরিক সমাজের সঙ্গে মিলিতভাবে এলাকার অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূলের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হবে বলে কর্মীরা জানিয়েছেন।