ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ
ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ বলেছেন, চট্টগ্রামে চিকিৎসকদের কাছে বিপদের বন্ধু নামে সুপরিচিত ছিলেন ডা, গোলাম মূর্তাজা হারুন। যেকোন সংকটে সবার আগে তিনিই এগিয়ে এসেছেন। যার কারণে ডা, গোলাম মুর্তাজা হারুন'কে সমস্যার সমাধানকারী হিসেবে মনে জায়গা করে দিয়েছেন চিকিৎসক সমাজ। শুধু চিকিৎসকেরাই নয়, সাধারণ মানুষও আজ তার অবদানের কথা স্বীকার করতে বাধ্য। কারণ তার হাত ধরেই চট্টগ্রামে চিকিৎসা ল্যাবরেটরি আজ এতোটা উন্নত ।
তিনি শুক্রবার রাতে নগরীর পাচলাইশের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাবেক সভাপতি ও ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সভাপতি ডা. গোলাম মূর্তাজা হারুনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখা আয়োজিত স্মরণসভা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, মানুষের বিপদে যে মানুষটি সবার আগে এগিয়ে আসতেন তিনি হলেন ডা. গোলাম মুর্তাজা হারুন। তিনি ছিলেন একজন মহৎ মানুষ । তার বিরুদ্ধে কেউ কোনদিন অভিযোগ করেন নি। তিনি শুধু একজন চিকিৎসক ছিলেন না, তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের অন্যতম একজন অভিভাবক। কারণ টট্টগ্রামের অনেক ক্রান্তিকালে তিনি সবার আগে এগিয়ে এসেছেন। তার ভাল গুণগুলোকে যদি আমরা আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি তাহলে ডা. গোলাম মূর্তাজা হারুন'র জীবন হবে সার্থক। তার আত্মা পাবে শান্তি।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি'র আহ্বায়ক ও ড্যাব টট্টগ্রামের প্রধান উপদেষ্টা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন ডা. গোলাম মূর্তাজা হারুন । সেই থেকে ডাক্তারদের যে কোন প্রয়োজনে, চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের যে কোন প্রয়োজনে তিনি এগিয়ে এসেছেন সবার আগে । ৩০টি বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করার মধ্যে কেউ কখনও অন্য কাউকে সভাপতি করার প্রয়োজনও মনে করেনি । কারণ সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন ডা. গোলাম মুর্তাজা হারুন।
তিনি বলেন, বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে ডা. গোলাম মূর্তাজা হারুন দক্ষ সংগঠক ও সফল উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রামে প্রথম বেসরকারি ডায়াগনস্টক সেন্টার শেভরন প্রতিষ্ঠা করেন। ডা. গোলাম মূর্তাজা হারুন শুধু চট্টগ্রামের সমস্যায় নয়, তিনি জাতীয় ক্রাইসিসের সময়েও নিজের বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। আর আজকে চট্টগ্রামের মেডিকেল ল্যাবরেটরির যে উন্নয়ন, যে উন্নত ব্যবস্থা আমরা পাচ্ছি, আধুনিক চিকিৎসার সব সেবা পাচ্ছি তার পথিকৃৎ এই ডা. গোলাম মুর্তাজা হারুন।
স্মরণসভায় ডা. গোলাম মুর্তাজা হারুনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার একমাত্র সন্তান তাসাদ্দাক মূর্তাজা সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
স্মরণসভা অনুষ্ঠানের আহবায়ক ও ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ও ড্যাব কেন্দ্রায় কর্মিটর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সি. সহ সভাপতি ডা. আবদুস সেলিম, ড্যাব চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি ও বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ড্যাব টট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো, জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা, ইমরান বিন ইউনুস, ড্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আব্দুল আলিম, ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আব্বাস উদ্দিন, শেভরনের চেয়ারম্যান ডা. ফরিদুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিশ্বনাথ দাস।
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় এনডিএফ নেতা ডা. আনোয়ারুল আজিম, ড্যাব চমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়েজুর রহমান, বিএমএ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আবু নাছের, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, এনডিএফ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ ইউছুপ, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল মান্নান শিকদার, ড্যাব চমেক শাখার সি. যুগ্ম সম্পাদক ডা. ইসা চৌধুরী, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ পরিবেশ সম্পাদক ডা. শামসুল আরেফিন সুমন, মহানগর ড্যাবের কোষাধক্ষ্য ডা. শামীম আল মামুন, চমেক ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ডা. জাহিদ ইকবাল, মহানগর ড্যাবের দফতর সম্পাদক ডা. শাকির উর রশিদ, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের দপ্তর সম্পাদক ডা. মো. মঈনউদ্দীন প্রমুখ।