বিশেষ প্রতিনিধিঃ
স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, রিকশাচালক থেকে রোগী—সবাই দুর্ভোগে; বর্ষায় রাস্তাটি হয়ে ওঠে মৃত্যুঝুঁকির নালা
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দারাজা সড়ক দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় আজ জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সংযোগ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হোছনাবাদ লালানগর উচ্চ বিদ্যালয়, লালানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আবু বকর সিদ্দিক (রা.) সুন্নীয়া মাদ্রাসার কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। অথচ এই সড়কে এখন রিকশা তো দূরে থাক, পায়ে হাঁটাও যেন মৃত্যু হাতে নিয়ে চলা!
‘চলাচলের চেয়ে দুর্ভোগই বড়’ — ক্ষোভে ফেটে পড়েছে জনতা
গত সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে সড়ক সংস্কার ও পুনঃনির্মাণের দাবিতে ব্যানার হাতে মানববন্ধনে দাঁড়ান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন: রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল হাছান
লালানগর ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলমগীর হাসান"সদস্য সেকান্দর হোসেন"স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ সিরাজ,,ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল হক
বর্ষায় রাস্তাটি হয়ে যায় মৃত্যুকূপ:মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ প্রায় আধা কিলোমিটার এই রাস্তাটির এমন বেহাল দশা যে রিকশা যাত্রীরা প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রোগী ও বৃদ্ধদের চলাচল প্রায় অসম্ভব। বিশেষ করে বর্ষাকালে কাদা-পানিতে রাস্তাটি স্রোতপথে পরিণত হয়। এতে স্কুলগামী শিশুদেরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল হাসান বলেন, “এই রাস্তার বিষয়ে ইউপি সদস্যদের একাধিকবার বলেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আজ আমরা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই—এই সড়ক এখনই সংস্কার করুন।”
‘উন্নয়ন হয়নি শুধু রাজনৈতিক প্রতিশোধে’ — রাজনৈতিক অভিযোগ
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, “বিগত সরকার উন্নয়নের বুলি দিলেও এই সড়কটিতে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সাবেক উপজেলা বিএনপি সভাপতি ইউনুস চেয়ারম্যানের এলাকা হওয়ায় হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে এ সড়ক সংস্কার করা হয়নি।”
রবিউল হাছান আরও বলেন, “এখন এখানে গাড়ি চলা তো দুরের কথা, হেঁটে গেলেও কোমর পানিতে ডুবে যাচ্ছে মানুষ।”
জনদাবি:তীব্র জনদুর্ভোগের অবসানে অবিলম্বে রাস্তাটি মেরামত ও পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে। স্কুলগামী শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রোগী, কৃষকসহ সব শ্রেণির মানুষ আজ এই সড়কের জন্য চরম ভোগান্তিতে।