1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মানবাধিকার কত দূর অর্জন হলো? -লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ “অনিরাপদ রেল ভ্রমণ” চট্টগ্রাম -কক্সবাজার রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশনে ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে -আলমগীর আলম গণঅধিকার পরিষদ- ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন বাঘাইছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বেগম রোকেয়া দিবস পালিত চট্টগ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা: ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার চ.উ.ক কাজির দেউরী কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাঘাইছড়িতে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগরীতে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট শ্রমিক কল্যাণ ইউনিটের দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত অভিযাত্রী পত্রিকার উদ্যোগে বিজয় দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত। নারী দিবসে সফল নারী উদ্যোক্তা বিলকিস সুলতানাকে সম্মাননা প্রদান

চট্টগ্রামের আলেম ওলামাদের একজন অভিভাবক এর বিদায়ঃ মোস্তানছিরুল হক চৌধুরী

  • সময় সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১৯৫ পঠিত

খুব সহজে সামাল দিয়ে আলেম ওলামাদের মূল শক্তিকে প্রকাশ্যে আনার একজন বীর কমান্ডার।

আজকের সকালটা হৃদয়বিদারক এক শোকসংবাদের মধ্য দিয়ে শুরু হলো।
চট্টগ্রামের ইসলামী অঙ্গনের এক মহান ব্যক্তিত্ব, হাজারো হাফেজ গড়ার কারিগর, চট্টগ্রাম তালীমুল কুরআন কমপ্লেক্স ও আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশের সম্মানিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়্যব সাহেব (রহ.) ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তাঁর বিদায়ে শুধু একটি মানুষ নয়, যেন একটি প্রতিষ্ঠান, একটি যুগ, একটি আদর্শিক নেতৃত্ব আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিল।

যাঁকে নিয়ে বলতে গেলে কেবল আবেগ নয়, কৃতজ্ঞতাও উপচে পড়ে।
তিনি ছিলেন এমন একজন মানুষ—যিনি কখনো আলোচনায় নিজেকে আনেননি, কিন্তু আলেম-ওলামাদের পেছনে থেকে সাহস, সহায়তা আর সংগঠনের যে পরিপূর্ণতা তৈরি করতেন, তা যুগান্তকারী।
বিশেষ করে ২০১৩ সালের হেফাজতের কঠিন সময়, যখন রাষ্ট্রীয় চাপ, অনুমতির জটিলতা, ভীতিকর পরিস্থিতি—সবকিছু একসাথে সামনে, তখনো তিনি ছিলেন একজন গোপন বীর।
অসংখ্য প্রোগ্রাম, লাখো মানুষের সমাবেশ—এসবের সরকারি জটিলতা তিনি অত্যন্ত চাতুর্য আর প্রজ্ঞায় সামাল দিয়েছেন। কারও সামনে না এসে, পেছন থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাওয়া মানুষ—সেটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়।

তিনি প্রায় ২৫টি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। চট্টগ্রামের মাদ্রাসা সম্পদের দিক থেকে তিনি এমন নজির রেখে গেছেন, যা অনেকের পক্ষেই কল্পনা করা কঠিন। হাটহাজারী বা পটিয়ার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের চেয়েও বেশি জমি তিনি মাদ্রাসার নামে ওয়াকফ করে গেছেন—এইটা কেবল জমি না, ইসলামের ভবিষ্যতের বীজ রোপণ করেছেন তিনি।

আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি—হুজুরের সাথে কথা বলে কেউ মুগ্ধ না হয়ে থাকতে পারত না।
তাঁর গলায় কোমলতা, চিন্তায় দূরদর্শিতা, কথায় আহবান, আর হৃদয়ে ছিল কুরআনের প্রতি ভালোবাসা।
এই মানুষটা এত অল্পদিনে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন—আমি কোনোভাবেই সেটা বিশ্বাস করতে পারছি না। বারবার মনে হচ্ছে, যেন হুজুরের সেই হাসিমাখা মুখ, পরিকল্পনার কথা, আলেমদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর চিন্তা—সবই এখনো কানে বাজছে।

তাঁর জীবন ছিল মেহনতের, তাঁর মৃত্যু হলো দোয়ার প্রার্থনার।
তাঁর রেখে যাওয়া কাজগুলোই আজ প্রমাণ করে তিনি ছিলেন একজন মহান মনীষী, একজন গোপন সাধক, যিনি আল্লাহর রাহে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন নিঃশব্দে।

হে আল্লাহ! আমাদের এই মহৎ শিক্ষককে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে স্থান দিন।
তাঁর জীবনের মেহনতকে কবুল করুন।
আমাদের যেন তাঁর মতো আদর্শবান মানুষদের অনুসরণ করার তাওফিক দিন।
আমিন।

মোস্তানছিরুল হক চৌধুরী
সচেতন নাগরিক ও ছাত্র সমাজ

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট