বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার নয়ারহাট বাজারে সংঘটিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ হত্যা ও স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
এ ঘটনায় লুণ্ঠিত ১৩ ভরি স্বর্ণ, স্বর্ণ বিক্রয়ের ৭৬,০০০ টাকা এবং হত্যায় ব্যবহৃত দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায় গত ০৯ মার্চ ২০২৫ রাত আনুমানিক ৯টায় দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক দিলীপকে তার স্ত্রী স্বরস্বতী দাসের সামনে ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটার পর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আশুলিয়া থানার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান শুরু করে।
গতকাল (১৭ মার্চ) বিকেল ৩টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সাভার, আশুলিয়া, রাজশাহী ও রাজবাড়ী জেলায় অভিযান চালিয়ে ৬ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৫ জন সরাসরি হত্যা ও ডাকাতিতে জড়িত ছিল এবং একজন লুটের মালামাল জিম্মায় রেখেছিল।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের মধ্যে রয়েছেন রিপন (৪০), মাসুদ রানা ওরফে কালা মাসুদ (৪৫), শাহ আলম (৪৫), আরমান (৩৭), আরিফ এবং ইব্রাহিম।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে ঢাকা ও অন্যান্য এলাকায় ডাকাতি করে আসছে। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৮টায় তারা একটি ভাড়া করা গাড়িতে করে নয়ারহাট বাজারে স্বর্ণালয়ের টার্গেট করে।
ইমরান ও আকাশ গাড়িতে অবস্থান করে, আরমান ও শাহ আলম পাহারা দেয় এবং তালিম ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে।
রিপন ও আরিফ চাপাতি দিয়ে দিলীপকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং মাসুদ রানা স্বর্ণের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গাড়িতে উঠে।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের কাছ থেকে ৮ ভরি স্বর্ণ ও ৭৬,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, রাজশাহীর কর্ণহাট এলাকা থেকে ইব্রাহিমের কাছ থেকে আরও ৫ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরিফের নির্দেশনা অনুযায়ী আরমানের ফলের দোকান থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি চাপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ ২০২৫ তারিখে দিলীপের স্ত্রী স্বরস্বতী দাস আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ১৮ মার্চ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার ।
Leave a Reply