
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তর-দক্ষিণ বিভাগ ও বাকলিয়া থানার যৌথ অভিযানে বাকলিয়া এলাকায় সংঘটিত আলোচিত সাজ্জাদ হত্যা মামলার মোট ০৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০০:৩০ ঘটিকার সময়, বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড সংলগ্ন মদিনা আবাসিক এলাকার সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যানার টানানো ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পক্ষ অপর পক্ষের উপর গুলি বর্ষণ করলে স্থানীয় মোঃ সাজ্জাদ (২২) গুলিবিদ্ধ হন এবং ১। পারভেজ (২০), ২। সাজ্জাদ (৩০), ৩। মোঃ শরীফ (২৯), ৪। রিফাত (২৫), ৫। ইউসুফ (৩০), ৬। জিসান (২২), ৭। জুয়েল (২৫), ৮। একরাম (২৩), ৯। ইব্রাহিম (২৩), ১০। শুক্কুর (২৫), ১১। ওবাইদুল (৩০), ১২। সাব্বির (২২), ১৩। ফারুক (২৮), ১৪। ফয়সাল (২০) গণ আহত হন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে মোঃ সাজ্জাদ ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মোঃ আলম বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ১৭ জন ও অজ্ঞাতনামা ৩৫–৪০ জনের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানার মামলা নং-৩০, তারিখ: ২৯/১০/২০২৫ইং; ধারা: ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মোজাম্মেল হক, বাকলিয়া থানা এবং পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ আফতাব হোসেন, মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ, সিএমপি, চট্টগ্রামের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) কিশোর মজুমদার ও তাঁর সহকারী এসআই (নিঃ) আবদুল মোমিন, এসআই (নিঃ) মোবারক হোসেন, এসআই (নিঃ) ফরহাদ মহিম, এসআই (নিঃ) আব্দুল কাদের, এসআই (নিঃ) শরীফ উল্লাহ, এসআই (নিঃ) মিজানুর রহমান, এএসআই (নিঃ) জহিরুল ইসলাম, এএসআই (নিঃ) নূরে আলম, এএসআই (নিঃ) সাইফুল আলম ও এএসআই (নিঃ) সফিকুল ইসলামসহ ডিবি ও বাকলিয়া থানার যৌথ চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬.০০টা হতে ২৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ দুপুর ১২.০০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর এলাকা ও আশপাশে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে এজাহারনামীয় আসামী ১। সবুজ ইসলাম মিরাজ (২৪), পিতা-মৃত মোঃ বাদল ইসলাম, মাতা-ফাতেমা বেগম, সাং-ছনহরা, কামাল চেয়ারম্যান বাড়ী, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমান-০১ শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটি, গুলজার টাওয়ার, ৯ম তলা,থানা-বাকলিয়া,জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমান-০২ সৈয়দশাহ রোড, আব্দুল আজিজ হাউজিং সোসাইটি, থানা-বাকলিয়া,জেলা-চট্টগ্রাম, ২। মোঃ সাইদুল ইসলাম (২০), পিতা-মোঃ বাদশা, মাতা-হাজেরা বেগম, সাং-কুড়েরখাল, খানবাড়ী, থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা, বর্তমানে-সৈয়দশাহ রোড, এসএম টাওয়ারের পার্শ্বে, থানা-বাকলিয়া,জেলা-চট্টগ্রাম, ৩। এমরান হোসেন সাগর (৩০), পিতা-আহম্মদ ছফা, সাং-দক্ষিণ ছাদেক নগর, সমিতিরহাট, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম, ৪। জিহান (২২), পিতা-জামাল উদ্দিন,মাতা-টিপু আক্তার, সাং-তানরাইজহাটা, খানখানাবাদ, থানা-বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-রসুলবাগ আবাসিক এলাকা, থানা-বাকলিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, ৫। মোঃ তামজিদুল ইসলাম প্রঃ সাজু (৪৭), পিতা-মৃত নুরুল ইসলাম, মাতা-মর্জিনা বেগম, সাং-ধাওয়া চাঙ্গুইর, ওয়ার্ড নং-৪, থানা-সদর, জেলা-বগুড়া, বর্তমানে-রসুলবাগ আবাসিক এলাকা, থানা-বাকলিয়া,জেলা-চট্টগ্রাম, ৬। মোঃ আরাফাত (২২), পিতা-রফিক উদ্দিন, মাতা-আম্বিয়া বেগম, সাং-মরফলা বাজার, রুস্তমপাড়া, নলুয়া ইউপি, ৩নং ওয়ার্ড, থানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমান সাং-কল্পলোক আবাসিক, খালপাড়, নানার বিল্ডিং, নিচতলা, থানা-বাকলিয়া,জেলা-চট্টগ্রাম, তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ৭। মোঃ ওসমান (২৮) পিতা-মৃত আব্দুর রাজ্জাক, মাতা- রহিমা বেগম, সাং- পাঁছগাছি, থানা- সদর, জেলা- ফেনী, বর্তমান- বিশ্ব মসজিদ আক্তার সওদাগর কলোনী, থানা- বাকলিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম, ৮। দিদারুল আলম রাসেল, পিতা-মৃত নুরুল আমীন, মাতা- দিলোয়ারা বেগম, সাং- খরনখাইন, থানা-পটিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম, বর্তমান- শীতলঝর্না আবাসিক, শেষ মাথা বিল্ডিং, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী থানা, জেলা- চট্টগ্রামদেরকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply