আমিনুল হক রিপন, চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির আহ্বায়ক থেকে ৩১শে জুলাই কৌশলে পদত্যাগ করেছেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।
পদত্যাগের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অফিস সুর্ত্রে জানা যায় গত ১৩/ ১২/ ২০২৪ইং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সংকট কালীন সময় উত্তোরনের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে জেলা প্রশাসক হিসাবে অর্পিত বহুমুখী দায়িত্ব পালনের ফলে বর্তমানে প্রেসক্লাবের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না।
৩১ জুলাই (২০২৫ইং)জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সাক্ষরিত প্রজ্বাপণে বিষয় – চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের কার্যক্রম আরো গতিশীল ও বস্তুনিষ্ঠ করার লক্ষ্য পূণরায় অন্তবর্তী কমিটি গঠন। উল্লেখ করে
গত ১৩/ ১২/ ২০২৪ইং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সংকট কালীন সময় উত্তোরনের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে জেলা প্রশাসক হিসাবে অর্পিত বহুমুখী দায়িত্ব পালনের ফলে বর্তমানে প্রেসক্লাবের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির আহ্বায়ক থেকে অব্যাহতি নেন বলে প্রজ্বাপণে উল্লেখ করেন।
এবং একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠান ও নির্বাচিতদের হাতে দায়িত্ব স্হান্তরের উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ৪০জন সদস্য কে বহিষ্কার/ ৫৬জনের সদস্য পদ স্থগিত করেছে অন্তবর্তী কমিটি। বহিষ্কৃত/ স্হাগিতকৃতদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বরখাস্তকৃতদের পূণরায় সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং বহিষ্কৃতদের পছন্দের ব্যাক্তিদের দিয়ে “সদস্য পদ বাতিল / স্হাগিতকৃত সদস্যদের পূর্ণ বিবেচনা সংক্রান্ত এম এ মালেক কে আহবায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসক।
সুর্এে প্রকাশ জুলাই-আগষ্ট ‘২৪ বিপ্লবের গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র জনতার আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলা, অর্থ যোগান দাতা, মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়া, বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের নামের তালিকা, সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচির ছবি, ভিডিও ফুটেজ দিয়ে পুলিশ দিয়ে মামলার সহযোগিতা, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অর্থ আত্মসাত, সাংবাদিকের নামে প্লট আত্মসাত, বিগত ১৬ বছর পেশাগত দায়িত্বের নামে আওয়ামী লীগের দলীয় বাহিনীর মত আচরণ করার অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ৪০ জনকে বহিস্কার এবং ৫৬ জনের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় বহিষ্কার কৃতদের চাপের মুখে ডিসি প্রেসক্লাবের আহবায়ক থেকে পদত্যাগ করে এবং এদের পছন্দের দেওয়া ব্যাক্তিদের দিয়ে “সদস্য পদ বাতিল / স্হাগিতকৃত সদস্যদের পূর্ণ বিবেচনা সংক্রান্ত ৬ সদস্য বিশিষ্ট পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে।
এবং ৫ই আগষ্ট (২০২৪ইং) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলের অভিযোগ করে ৫ আগষ্টের পরে
যারা প্রেসক্লাবের সদস্য হয়েছে তাদের বৈধতার প্রশ্ন তুলে বহিষ্কারের দাবী তুলেন এবং চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব কে বর্তমান সন্ত্রাসী বাহিনী হাত থেকে মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী জানান।
Leave a Reply