
মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম রিয়াদ
স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন কাঠগড় ধুমপাড়া এলাকায় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে প্রায় চার কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব ৭ চট্টগ্রাম।এ সময় একজন পেশাদার মাদক কারবারিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার সংখ্যা এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার পিস বলে নিশ্চিত করেছে র্যাব।
র্যাব সূত্রে জানা যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী পতেঙ্গা থানাধীন কাঠগড় এলাকায় একটি বসত বাড়িতে অবৈধভাবে ইয়াবা মজুদ করে বিক্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সকাল আনুমানিক নয়টা বিশ মিনিটে র্যাব ৭ চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এক ব্যক্তি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ নাছির প্রকাশ নাছিম বয়স পঞ্চাশ বছর। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানার পূর্ব কাঠগড় উত্তর পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা এবং মোহাম্মদ আবুল কালামের ছেলে।
পরবর্তীতে র্যাব সদস্যরা আটককৃত নাছিরের নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় তল্লাশি চালিয়ে একটি কালো ও নীল রঙের কাঁধ ব্যাগ উদ্ধার করেন। ব্যাগটির ভেতরে ইট সদৃশ পলিথিন ও কসটেপে মোড়ানো পনেরটি প্যাকেট পাওয়া যায়। এসব প্যাকেট খুলে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় চার কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত মোহাম্মদ নাছির স্বীকার করেন তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্পমূল্যে ইয়াবা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কাছে খুচরা ও পাইকারি দামে বিক্রি করে আসছিলেন।
র্যাবের সিডিএমএস পর্যালোচনায় আরও জানা যায় আটককৃত নাছিরের বিরুদ্ধে পূর্বেও মাদক সংক্রান্ত অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
র্যাব জানায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদক নির্মূলে র্যাবের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
মাদকবিরোধী এই সফল অভিযানে এলাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের মতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হলে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে কমে আসবে এবং তরুণ সমাজ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব সাত চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মিডিয়া সহকারী পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন।
Leave a Reply