মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে গার্মেন্টকর্মী ফেরদৌসি আক্তার (৩২) খুন হয়েছেন। ঘটনার ছয়দিনের মাথায় মূল ঘাতক দেবর মোঃ রনি (২৮) এবং সহযোগী সোলাইমান (৪৮) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পতেঙ্গা মডেল থানার পুলিশ জানায়, নিহত ফেরদৌসি আক্তার স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তিনি তার স্বামী মোঃ লোকমান হোসেন (৪৫) ও দুই সন্তানসহ চড়িহালদা মোড় এলাকার হামিদ মাঝির বাড়িতে বসবাস করতেন। ২০১৩ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ফেরদৌসির বিয়ে হয় লোকমান হোসেনের সাথে। তবে লোকমানের পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি এবং বিয়ের পর থেকেই,
পারিবারিকভাবে নানা হয়রানির শিকার হন তিনি।
পুলিশ জানায়, ঘটনার এক সপ্তাহ আগে রান্নাঘর মেরামত নিয়ে ফেরদৌসি তার স্বামীর সঙ্গে তর্কে জড়ান, যা শারীরিক নির্যাতনে গড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জুলাই রাতে স্বামী লোকমান ও দেবর রনি রান্নাঘর নিয়ে ফের ঝগড়ায় জড়ান। একপর্যায়ে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে আবু বক্করের ঘরের সামনে রনি ধারালো ছুরি দিয়ে ফেরদৌসিকে বুকে-পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করে। মারাত্মক রক্তক্ষরণে ফেরদৌসি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
ঘটনার পর ভিকটিমের ভাই মোঃ মামুন খান (৩৬) বাদী হয়ে পতেঙ্গা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১২, তারিখ: ১৪/০৭/২০২৫; ধারা: ৩০২/৩৪ পেনাল কোড)।
বন্দর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আমিরুল ইসলাম এর নির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোহেল পারভেজ এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার জামাল উদ্দিন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই এইচএম হারুনুজ্জামান রোমেলসহ পুলিশের একটি টিম একটানা অভিযান চালায়।
অবশেষে ২০ জুলাই চড়িহালদা মোড় এলাকা থেকে হত্যা মামলার ১নং আসামী মোঃ রনি ও ৩নং আসামী সোলাইমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পেছনে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পরিবারে সচেতনতা ও আইনি সহায়তা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply