1. news@dainikchattogramerkhabor.com : Admin Admin : Admin Admin
  2. info@dainikchattogramerkhabor.com : admin :
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন সীতাকুণ্ডে গ্রাম পুলিশ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন আবুরখীল নন্দন কানন বিদর্শন বিহারে কঠিন চীবর দান প্রথম পর্বে ট্রাষ্টির নেতৃবৃন্দ বান্দরবানে ১৩অক্টোবর সোমবারের হরতা‌ল প্রত্যাহার করছে নাগরিক পরিষদ আসছে নাটক ‘অপ্রকাশিত ভালোবাসা’ মাইজভান্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি দক্ষিণ ধর্ম পুর শাখার মাহফিলে বক্তারাঃ আউলিয়াদের সংস্পর্শে মানুষের মধ্যে মানবিক গুণাবলি অর্জিত হয় পুলিশের প্রভুত্ব নয়, জনগণের সেবা চাই”— দৃঢ় অবস্থানে সাগুফতা বুশরা মিশমা জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপকূল গার্ডেন আবাসিক ভবনের ফ্ল্যাট বন্টন অনুষ্ঠান সম্পন্ন চুয়াডাঙ্গায় ওভারপাস নির্মাণে ভোগান্তির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন বোয়ালখালীতে টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন

বীর চট্রলার তথা পটিয়ার গর্বিত সন্তান অধ্যাপক পুলিন দে ছিলেন একজন নির্লোভ,নিরহংকার ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ- তসলিম উদ্দীন রানা

  • সময় শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১০১ পঠিত

 

অধ্যাপক পুলিন দে (১৪ মে ১৯১৪ – ১১ অক্টোবর ২০০০)। তিনি ছিলেন এক নির্লোভ,পরিচ্ছন্ন আদর্শবাদী বাঙালি সমাজতান্ত্রিক নেতা, যিনি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কৈশোরে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মিতে যুক্ত হন এবং প্রথম গ্রেপ্তার হন মাত্র ১৮ বছর বয়সে। ব্রিটিশ শাসনামলে তিনি প্রায় ১২ বছর কারাবরণ করেন। কারাগারেই তিনি আইএ, বিএ ও এমএ পাস করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি গঠন করেন পাকিস্তান সোসালিস্ট পার্টি এবং যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে এমএনএ নির্বাচিত হন। ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮-র সামরিক শাসন, ১৯৬৫-র যুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধসহ নানা সময়ে তাঁকে বন্দি করা হয়। ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি প্রস্তাব দেন, যেগুলো দলে উপেক্ষিত হয়। পরে সামরিক শাসনে তিনি আবারও কারাবরণ করেন। আজীবন সাধারণ, নিরহংকারী জীবন যাপনকারী পুলিন দে রাজনীতির বাণিজ্যিকীকরণে গভীরভাবে হতাশ ছিলেন। জীবনের শেষভাগ কাটান চট্টগ্রামের জয়নগরে বোনের বাসায়।
২০০০ সালের ১১ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়, ধলঘাটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য হয়। আজও তিনি নিজ দলে বিস্মৃত, তবে ইতিহাসে উজ্জ্বল এক নক্ষত্র। জীবনে জীবন তিনি গৌরবের।আজীবন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান
নির্লোভ নিরহংকার ও আদর্শিক নেতাকে জাতি আজীবন শ্রদ্ধা এবং স্মরণ করেন।তিনি না পাওয়ার বেদনা নিয়ে চলে গেলেও তার আদর্শ আজও আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি রাজনীতির মডেল,রাজনীতির বীর।তার জীবনে অনেক উতখান ও পতনের সাথে জড়িত। আন্দোলন সংগ্রামের নায়ক ছিলেন। বিপ্লবী বীর সন্তান পটিয়ায় জন্ম হলেও তিনি সমগ্র দেশের জন্য সব সংগ্রামের ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। তার জীবনে রাজনীতির কারণে কাউকে বিয়ে পর্যন্ত করেনি।আজীবন বিপ্লবী হিসাবে পরিচিত। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে,ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অতুলনীয় ও অনস্বীকার্য। তিনি বাঙালির সকল সংগ্রামের ত্রাতা হিসাবে আবির্ভূত হয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করে শেষ পর্যন্ত আমাদের থেকে চিরবিদায় নিলেন।বীর পটিয়া ধলঘাটে তাকে আজও
সমাহিত করে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে জাতি। তার আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করতে হবে।তার মত আদর্শিক রাজনীতির ধারক হিসাবে গড়ে উঠলে জাতি উপকৃত হত।

স্যালুট বিপ্লবী বীর!
স্যালুট বীর চট্রলার বীর সন্তান!
স্যালুট আদর্শিক রাজনীতির লিজেন্ড!
স্যালুট বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নায়ক!
স্যালুট ভাষা আন্দোলনে নায়ক!
স্যালুট নির্লোভ,নিরহঙ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ!
স্যালুট রাজনীতির আইকন!
স্যালুট বিপ্লবী বীর লাল সালাম!

লেখক, গবেষক,কলামিস্ট, অধ্যাপক ও সাবেক ছাত্রনেতা।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
কপিরাইট © ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট