এম,আনিসুর রহমান
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে যৌথবাহিনীর অভিযানে ছাত্রদলের এক নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আকবর হোসেন শাহীন নামে ওই যুবক কালাপানিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। অভিযানে তার কাছ থেকে একটি একনলা দেশীয় বন্দুক, পাঁচটি কার্তুজ এবং চারটি ধারালো চাপাতি জব্দ করে যৌথবাহিনী। এছাড়া তার ঘর থেকে ইয়াবা ও গাজা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৯ জুলাই) রাতে ঘটনার বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল বাতেন ভুঁইয়া বাদী হয়ে শাহীনকে আসামি করে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করেছেন। তার বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ও ১৯(এফ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে তাকে ওই মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় মোবাইল ডিউটির সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ সদস্যদের জানান, নৌবাহিনীর সদস্যরা শাহীনকে আটক করেছে এবং তার কাছে অস্ত্র থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এরপর যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে কালাপানিয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে হেলাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির ঘর থেকে ওইসব অস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, কালাপানিয়া ইউনিয়নের একটি নতুন জেগে ওঠা চরের দখল নিয়ে বিরোধের জেরে শাহীন প্রকাশ্যে গুলি ছোড়ে। এতে এলাকায় চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং পরে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে ছাত্রদল সভাপতি শাহীনকে সন্দ্বীপ থানার ওসি ও কৌশলে যৌথবাহিনীকে ব্যবহার করে ধরিয়ে দেওয়ার দেওয়ার অভিযোগ এনেছে তার সমর্থকরা। তারা এজন্য সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরউদ্দীনকে দায়ী করেছেন।
শাহীনের সমর্থকরা অভিযোগ করেন, নুরউদ্দীন সন্দ্বীপ ও হালিশহরে আনিস আকতার টিটুর অস্ত্র ও ইয়াবা পাচারের প্রধান। গত বছরও তিনি অস্ত্র পাচারের সময় ডিবির হাতে আটক হন। ওই সময় তাকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করার অজুহাতে কালাপানিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল কাদেরকে ডিবির হাতে ধরিয়ে দেন নূরউদ্দিন।
Leave a Reply